রিফাত ইসলাম, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি|| গোপালগঞ্জের বশেমুরবিপ্রবির ছাত্রদের মেসে চুরির ঘটনায় এতদিন উদ্বিগ্ন ছিলো শিক্ষার্থীরা সেই উদ্বেগ এখন ছড়িয়ে পড়েছে ক্যাম্পাস প্রশাসনের মধ্যে। লকডাউনের মধ্যে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় চুরির ঘটনার পর এবার এই চুরির ঘটনা ঘটেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বশেমুরবিপ্রবির রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির একুশে ফেব্রুয়ারি লাইব্রেরি থেকে ৯১’টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে। রেজিস্ট্রার ড. মোঃ নূরউদ্দিন আহমেদ চুরির ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, “ছুটি শেষে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর বিষয়টি সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ অবগত হয়। এসময় দেখা যায় লাইব্রেরীর পিছনের দিকের জানালা ভাঙা, ধারণা করা হচ্ছে কম্পিউটর গুলি ভাঙা জানালা দিয়ে চুরি হয়েছে।
লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মোট ৯১ টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে।” উক্ত চুরির ঘটনায় কোনো আইনি ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রেজিস্ট্রার বলেন, “চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে।” এ বিষয় বশেমুরবিপ্রবির সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা চুরির বিষয়ে জানার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেছি। সিসিটিভিতে ২৭ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত ঘটা,ঘটনার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। এসময়ে কোনো চুরির ঘটনা ঘটেনি। আর এর আগে ২০ তারিখ উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) মহোদয় লাইব্রেরি পরিদর্শন করেছিলেন। তখনও সকল কম্পিউটার যথাস্থানে ছিলো। তাই আমরা ধারণা করছি ২০ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যবর্তী সময়ে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে।” এসময় তিনি আরো জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন গার্ডের মধ্যে ২০ জন ২৩ তারিখ থেকে কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়েই অনুপস্থিত ছিলেন তাই নিরাপত্তাজনিত কিছুটা সমস্যা ছিলো।
তবে আমরা চেষ্টা করেছি অবশিষ্ট গার্ড ও আনসারদের সমন্বয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।” নাম প্রকাশ না করা শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্র জানিয়েছেন, “কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা কর্মীদের যথেষ্ট অবহেলা ছিলো বলেই এই চুরির ঘটনা ঘটেছে, অবহেলা না থাকলে একদিনে ২০ জন অনুপস্থিত থাকা সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন ২০ জনের অনুপস্থিতি দেখে প্রশাসন তৎক্ষণাৎ যথাযথ ব্যবস্থা কেনো নেয়নি? আমি মনে করি এই ঘটনা শুধু অবহেলার ফসল।”
রিফাত ইসলাম, বশেমুরবিপ্রবি
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ