আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন, সিরাজগঞ্জ।। সিরাজগঞ্জ শহরের বিভিন্ন দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করায় তাৎক্ষনিক শহরের সকল দোকান মালিক ও কর্মচারীদের বিক্ষোভ করে দোকানপাট অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষনা দিয়েছে শহর দোকান মালিক সমিতি।
দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ জানান, যখন তখন জেলা প্রশাসকের ম্যাজিস্ট্রেটগণ শহরের দোকান গুলোতে হয়রানি মূলক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করেন। এইভাবে ভ্রাম্যমান আদতালত বন্ধ করার দাবীতে সিরাজগঞ্জ শহর দোকান মালিক ও কর্মচারিরা বিক্ষোভ করেন। পরে সিরাজগঞ্জ দোকান মালিক সমিতি অনির্দিষ্ট কালের জন্য দোকানপাট বন্ধ ঘোষনা করেন। রবিবার(১৯’শে জুলাই) বিকেল থেকে সিরাজগঞ্জ শহরের কাপড়ের দোকান, চাউলের দোকান, মোনহারীর দোকান, কসমেটিক্স দোকান, কাচামালের দোকান, নিউমার্কেটের সকল দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করেন ।
সিরাজগঞ্জ শহর দোকান মালিক সমিতির আহবায়ক গোলাম মোস্তফা তালুকদার বলেন, আমরা সকল নিয়মকানুন মেনে চলতেছি কিন্তু হঠাৎ করে বেশ কিছুদিন ধরে যখন তখন আমাদের শহরের দোকানে এসে অভিযান চালিয়ে অহেতুক জরিমানা করতেছে, আমরা জনগণের সেবায় নিয়োজিত আছি কোন প্রকার অবৈধ মালামাল বিক্রি করিনা। আমরা লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করতেছি কিন্তু আমাদের যুক্তিহীন ভাবে বার বার জরিমানা করে অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করিতেছেন জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটগণ। গত শনিবার ও রবিবার দুই দিনে ১০/১৫টি দোকানে জরিমানা করে ও ব্যবসায়ীদের সাথে খারাপ আচারণ করেন। এজন্য আমরা সিরাজগঞ্জ শহরের সকল দোকানপাট বন্ধ ঘোষনা করছি আজ থেকে। পরবর্তিতে কোন নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শহরের সকল দোকান পাট বন্ধ থাকবে বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, এর মধ্যে শহরের আলমদিনা স্টোরে ৩০হাজার টাকা, মদিনা স্টোরে ৩০হাজার টাকা, গিভ ওয়াল্ড ৩০ হাজার টাকা, আলা উদ্দিনে ৫হাজার টাকা, প্রিয়জন ২হাজার টাকা, মেরাজ স্টোরে ১হাজার টাকা, জান্নাতি স্টোরে ২হাজার টাকা,রাজকন্যা বিউটি পার্লার ১হাজার টাকা, বড়বাজারের পান ব্যবাসায়ীর ১হাজার টাকা ও বড়বাজার হোটেলে ৫হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সিরাজগঞ্জ শহর দোকান মালিক সমিতির সদস্য সচিব ফেরদৌস রবিন বলেন, আমরা জণগনের কথা চিন্তা করে দোকান খোলা রাখি। যেকোন দোকানে যখন তখন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আমাদের হয়রানি করবেন এটা আমরা মেনে নিতে পারি না। প্রশাসন যতক্ষন না আমাদের এই হয়রানি বন্ধ করার আশ্বাস দিবে ততক্ষণ দোকান বন্ধ থাকবে।
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত তার নিজস্ব গতিতে চলে। আদালতের রায় অনেকের পছন্দ নাও হতে পারে। এক টাকা জরিমানা করলেও সেটি শাস্তি-অনেকেই সেটা মেনে নিতে পারেন না। আবার নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি বার বার আদালতের কাছে সুপারিশ করে। সুপারিশ না রাখার কারণে সেই ব্যক্তির ডাকে শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়েছে বলে শুনেছি।
আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন, সিরাজগঞ্জ জেলা
সিরাজগঞ্জ নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ