শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি|| বহির্বিশ্বের নামিদামি কোম্পানির মোটরবাইক, ইজিবাইক ও মানসম্মত ব্যাটারি বিক্রয়ের সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান আসাদুল ইসলাম। আসাদুল ইসলাম তার দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় অনেক ঘাত প্রতিঘাত চড়াই উতরাই পাড়ি দিয়ে কুষ্টিয়া উপজেলা মোড়ে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন। যার সুনাম এখন সারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে ছোটবেলা থেকেই এই আসাদুল অনেক কষ্ট করে অন্যের দোকানে কাজ করে সংসার চালাত, সেইসাথে ভাই-বোনদের লেখাপড়াও শিখিয়েছেন। আজ কুষ্টিয়ার বুকে তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী হিসাবে নিজেকে দাঁড় করিয়েছেন।
কুষ্টিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে ঝাউতলা মোড়ের স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে ছোটবেলা থেকেই কঠোর পরিশ্রম করে আজ তিনি নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন সেই সাথে একাধিক ব্যক্তির কর্মসংস্থান করেছেন। গড়ে তুলেছেন এ আর মোটরস নামের একটি প্রতিষ্ঠান বহির্বিশ্বের বিভিন্ন নামিদামি ব্রান্ডের মোটরসাইকেল শোরুম করেছেন সেই সাথে চায়না থেকে আগত ইজিবাইক ও নামিদামি কোম্পানির ব্যাটারি বিক্রয় করে আসছেন।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক আসাদুল তিনিগরিব-দুঃখীদের পাশে দাঁড়িয়ে স্বল্পমূল্যে অর্থ জমা নিয়ে অবশিষ্ট অর্থ কিস্তিতে পরিশোধ সাপেক্ষে ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল বিক্রয় করে আসছেন তার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ নেই কোনো ক্রেতার। কিন্তু হঠাৎ করেই মিরপুর উপজেলার আবুরি গ্রামের আসাদুজ্জামান নামক একজন ইজিবাইক ক্রেতা তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন যে, আমার ক্রয় কৃত ইজিবাইক আটকে রেখেছে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এ আর মটরসে গেলে তাদের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় ওই আসাদুজ্জামান একাধিক মাস্তান প্রকৃতির লোক নিয়ে জোরপূর্বক গাড়ি ছাড়িয়ে আনতে গেলে এ আর মোটরসের ম্যানেজার বলেন, যেহেতু গাড়ির অবশিষ্ট অর্থ পরিশোধের তারিখ শেষ হয়ে গেছে, সুতরাং সম্পুর্ন টাকা পরিশোধ করে গাড়ি নিয়ে যান তাতে আমাদের কোন আপত্তি নাই, আপনার গাড়ি আমাদের হেফাজতে রয়েছে। বিষয়টি আরো পরিষ্কার হয়ে ওঠে যে ৬ মাসের কিস্তিতে ইজিবাইক ক্রয় করেছেন ওই আসাদুজ্জামান। অনেক আগেই তার মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও গাড়ির কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়।
বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় এ আর মোটরসের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় নিউজ প্রকাশ করানোর ফলে এ আর প্রতিষ্ঠানের মালিক আসাদুল ইসলামের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। উক্ত অভিযোগনামায় এটাও লেখা আছে যে মালিক কর্তৃপক্ষের লোকজন আসাদুজ্জামানকে মারধর করেছে, কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজে কোন কিছুই দেখা যায় নাই। মিথ্যা তথ্য সাংবাদিকদেরকে দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় প্রতিষ্ঠানের মালিক আসাদুল ইসলাম তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আর একটি বিষয় উল্লেখ করলেই নয় সেটি হল, আমি ব্যক্তিগতভাবে এ আর মটরস এর মালিক আসাদুল ইসলামকে ছোটবেলা থেকেই চিনি এবং জানি যে, তিনি এই ব্যবসা শুরু করেছিলেন মাত্র ৬০ হাজার টাকা দিয়ে আজ তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬০ কোটির ঊর্ধ্বে। এটা সম্ভব হয়েছে তার সততা, নিষ্ঠা ও কঠোর পরিশ্রমের বিনিময়ে। আমি চাই তিনি আরো স্বর্ণশিখরে উঠুক বিশ্ব দরবারে তার নাম যশ খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।
কুষ্টিয়া নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ