ব্যাপক চাহিদা আর প্রত্যাশা নিয়ে সরকারিখাতের টেলিকম সংস্থা টেলিটক বাজারে এলেও গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারেনি ১২ বছরে এমন তথ্য উঠে এসেছে খোদ সরকারি নীরিক্ষায়। লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠান থেকে টাওয়ার ও ট্রান্সমিশন ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম চালানোর কারণে এই দুর্দশা টেলিটকের বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
দুর্বল নেটওয়ার্ক তাই টেলিটক ব্যবহারে আগ্রহ নেই ৫৫ ভাগ গ্রাহকদের এমন তথ্য টেলিটকের পারফরমেন্স নীরিক্ষা প্রতিবেদনের। দেশে সরকারী-বেসরকারী এনটিটিএন বা ফাইবার অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক ভাড়াদানকারী পাঁচটি প্রতিষ্ঠান থাকলেও টেলিটক ভাড়ায় ব্যবহার করছে পিএসটিএন বা টেলিফোন অপারেটর বাংলাফোন লিমিটেডের নেটওয়ার্ক যা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির নির্দেশনার সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। এভাবে নেটওয়ার্ক ব্যবহার বন্ধে বারবার তাগিদ দেয়া হলেও তা না মানার অভিযোগ টেলিটকের বিরুদ্ধে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ জানান এনটিটিএন পারমিট বা লাইসেন্স নেই তাদের কাছ থেকে কোন অপারেটর এনটিটিএন সার্ভিস নিতে পারবে না। এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে। সরকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্য বাংলাদেশ রেলওয়ে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি, বিটিসিএল এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সামিট কমিউনিকেশন এবং ফাইবার এট হোম এনটিটিএন লাইসেন্স রয়েছে। শুধুমাত্র এই পাঁচ প্রতিষ্ঠান থেকে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক ভাড়া নেয়া যায়।
আরও অভিযোগ নিয়ম না মেনেই বাংলাফোনকে ইতিমধ্যে ভাড়া পরিশোধ করেছে দুই কোটি টাকার বেশি। আর প্রতি মাসে দিচ্ছে সার্ভিস চার্জ আরও এক কোটি টাকা। এভাবে টাকা দেয়া নিয়মবর্হিভূত বলছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। শাহজাহান মাহমুদ আরও জানান যেহেতু বাংলাফোনের এনটিটিএন পারমিট ও লাইসেন্স নেই তারা কাউকে ভাড়া বা লিজ দিতে পারবে না। এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে টেলিটকের কেউই কথা বলতে রাজী হননি। টেলিটকের প্রকিউরমেন্ট ডিজিএম সাঈদ মাহমুদ জানান উপরের মহলের কাছে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করতে পারেন। গেল এক যুগেও টেলিটকের নিজস্ব নেটওয়ার্ক আর টাওয়ার নির্মাণ না হওয়ায় জন্য বড় অনিয়ম আর দুর্নীতিকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন টেলিযোগাযোগের এই প্রতিযোগিতার বাজারে টেলিটক হতে পারতো এক অনন্য প্রতিষ্ঠান। কিন্তু অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে রাষ্ট্রীয় মোবাইল সেবাদানকারী এই প্রতিষ্ঠান। কিস্তু টেলিটকের অর্জন যে গ্রাহকেরা তারা কি সেই সেবা পাবেন এটিই এখন বড় প্রশ্ন।
নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইম্স নিউজ