যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ছুরিকাঘাতে নিহত বাংলাদেশি আবাসন ব্যবসায়ী জাকির খানের নামাজে জানাজা হবে আজ জুমার নামাজের পর।এরপর তার মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানো হবে। নিহতের পরিবার জানিয়েছে, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ থানার পাঠানটিলা গ্রামে দাফন করা হবে তাকে। স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ১০ বছরের শিশুপুত্রের সামনেই জাকির খানকে ছুরিকাঘাত করেন, মিশরীয়-মার্কিনী তাহা মাহরান।
তার বাড়িতেই ভাড়া থাকতেন ৪৪ বছর বয়সী জাকির। ঘটনার পর আত্মসমর্পণ করেছেন তাহা মাহরান। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, বাড়িভাড়া নিয়ে বিরোধের কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে।এই দিকে জাকির খানের পরিবারে চলছে শোক। সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে জাকিরের প্রতিবেশিরা এই ঘটনায় মর্মাহত। কষ্টে ভেঙে পড়েছেন দেশে আসা ভাইয়েরা। যুক্তরাষ্ট্রে নিজ বাসায় খুন হন জাকির। জড়িত সন্দেহে বাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফেঞ্চুগঞ্জের পাঠানটিলা গ্রামের পাঠান বাড়ির সবাই যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ১৯৯৩ সালে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে পড়াশোনা শেষে শুরু করেন আবাসন ব্যবসা। গত সপ্তাহে দেশে এসেছেন তিন ভাই। জাকিরের খুনের খবর পেয়ে বিষাদগ্রস্ত তারা। মার্কিন ডেমোক্রেটিক দলের সাথে যুক্ত ছিলেন জাকির। প্রবাসী বাঙালিদের দাবি আদায়ে সোচ্ছার ছিলেন তিনি। শুধু প্রবাসে নয় দেশের মানুষের জন্যও কাজ করতেন জাকির খান। প্রতিবেশিরা বললেন বাড়ি এসে গরিব মানুষকে সাহায্য করতেন।
ভাড়া নিয়ে মিশরিয় বাড়ির মালিকের সাথে বেশ কিছুদিন ধরেই জাকিরের বিরোধ চলছিলো। মামলাও হয়েছে। পুলিশের ধারণা বাড়ির মালিকের ছুরিকাঘাতে নিহত হয় জাকির।
নিউজ দেস্ক, বিডি টাইমস নিউজ