“ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ই/ভি/এম এর জন্য বিনিয়োগের পর তার ব্যবহার স্থগিত করে, নতুন প্রযুক্তি ডি/ভি/এম-এ যাওয়া যুক্তিহীন। নতুন এই প্রযুক্তিতে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া জটিল হবে।” ডিজিটাল ভোটিং মেশিন তৈরির উদ্যোগের সমালোচনা করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন । তবে ইসির দাবি, ই/ভি/এম প্রকল্প সফল না হওয়ার কারণেই ডি/ভি/এম-এ যাচ্ছে তারা।
এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ২০১০ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও দুটি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করে ১৩০টি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন কিনেছিলো। সে বছর চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে তা ব্যবহারও হয়। এরপর আরও দুই ধাপে মোট বারোশো ত্রিশটি মেশিন কেনায় দাম পড়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। বেশ কিছু স্থানীয় নির্বাচনে পরীক্ষামূলক ব্যবহারের পর সবশেষ কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে পুর্নাঙ্গভাবে ব্যবহার হয় ইভিএম। এই প্রযুক্তি ব্যবহারে কিছু কারিগরি জটিলতা তৈরি হলেও তা দূর করতে ইসি জোরালো উদ্যোগ নেয়নি বলে আছে অভিযোগ। বরং ইভিএম সফল নয় দাবি করে দায়িত্বের একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে কাজী রকিব কমিশন ডিজিটাল ভোটিং মেশিন-ডিভিএম তৈরির উদ্যোগ নেয়।
ইভিএম প্রকল্পের সাথে জড়িত শামসুল হুদা কমিশনের সদস্য সাখাওয়াত হোসেনের দাবি একেকটি মেশিনের আয়ুষ্কাল ছিল পনেরো বছর। সেখানে পাঁচ বছর না যেতেই তা বাতিল করা যুক্তিহীন।ডিভিএম স্মার্ট কার্ড নির্ভর হওয়ায় ভোট দিতেও জটিলতা তৈরি হবে বলে মনে করছেন তিনি।
প্রতিবার জাতীয় নির্বাচন ঘিরে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের নিরীক্ষা না চালিয়ে একটি নির্দিষ্ট প্রযুক্তিকে আরো বেশি পূর্ণাঙ্গ করার ওপর জোর দিয়েছেন সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার।
অনলাইন ডেস্ক , বিডি টাইমস নিউজ