বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আয়োজন করেছে “নিউ রেফারি ট্রেনিং কোর্স ২০১৭”। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন হাউসে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এই কোর্স,চলবে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।বাংলাদেশ ফুটবলের মানোন্নয়ন ও পেশাদারিত্ব অর্জনের লক্ষে প্রত্যেকটি বিভাগকে তাদের লক্ষ অর্জনে সফলভাবে এগিয়ে যাওয়ার অংশ হিসেবে রেফারিদের নিয়ে এই ট্রেনিং কোর্সের আয়োজন করা হয়েছে।

রেফারী শব্দটির উৎপত্তি ঘটেছে ফুটবল খেলা থেকে। প্রকৃতপক্ষে দলের অধিনায়কগণ  একে-অপরের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মাঠের সমস্যাগুলো সমাধান ও নির্ধারণ করে থাকেন। ঘটনা পরম্পরায় একজন রেফারী আম্পায়ার পদবীর প্রতিনিধিত্ব করেন। প্রত্যেক দলই দলীয় অধিনায়কের অনুমোদনক্রমে খেলায় মনোযোগের জন্য তাদের দলীয় আম্পায়ার আনেন।  রেফারী (Referee) দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে নির্দিষ্ট যে-কোন ধরণের খেলা পরিচালনা করেন। পাশাপাশি তিনি নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সকল ধরণের সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রয়োগের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে সংশ্লিষ্ট খেলা পরিচালনা করেন। খেলার পরিচালক হিসেবে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক খেলায় দুইপক্ষের খেলোয়াড়দের ভুল-ত্রুটি নির্দেশ করেন। অধিকাংশ খেলায় মধ্যস্থতাকারীরূপে তিনি হুইসেল বা বাঁশী বাজান। খেলায় অংশগ্রহণ -কারী খেলোয়াড়গণ এ বিশ্বাসটুকু উপলদ্ধি করেন যে, বিচারক হিসেবে একজন রেফারীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এবং তিনি সর্বদাই সঠিক সিদ্ধান্ত দেন, যদিও অনেকক্ষেত্রে তাঁর সিদ্ধান্ত ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে। ফুটবলের আইন-কানুনের ৫নং ধারার মাধ্যমে রেফারীকে খেলা পরিচালনার জন্য মনোনীত করা হয়। তিনি খেলায় মূল কর্তৃপক্ষ হিসেবে যাবতীয় আইন-কানুন প্রয়োগ করেন। দুইজন সহকারী রেফারী বা লাইন্সম্যান এবং কখনো কখনো চতুর্থ রেফারীও তাঁকে খেলায় সহায়তা করে থাকেন। তবে ইউইএফএ ফুটবল প্রতিযোগিতায় ৬জন রেফারী অংশগ্রহণ করেন। দুইজন গোলপোস্টের বাইরে থেকে বলের অবস্থান চিহ্নিত করেন যে তা গোল লাইন অতিক্রম করেছে কি-না।

বিশ্বব্যাপী ফুটবল খেলার মানোন্নয়নে সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী সংস্থা ফিফা ১৭টি আইনের কথা উল্লেখ করেছে। তন্মধ্যে – রেফারী এবং সহকারী রেফারীর দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে।

স্পোর্টস ডেস্ক, বিডি টাইমস নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে