জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা।। ঈদের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে, বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর, চান্দুরা,আমতলী, চম্পক নগর, সিঙ্গারবিল,হরষপুর ও আউলিয়া বাজারের বস্ত্রবিতান, কসমেটিকস ও জুতাসহ বিভিন্ন দোকানে উপচেপড়া ভিড় লক্ষনীয়। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও এর কোনো প্রভাব পড়েনি এসব এলাকার জনমনে।
সরেজমিনে বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে দোকানগুলোয় পণ্য কেনা-বেচার সময় স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। দোকানগুলোয় ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচার কথা থাকলেও বেশিরভাগ দোকানে তা মানা হচ্ছে না। সকাল থেকে বাজারের প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগত ক্রেতারা সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা ও কোনো প্রকার ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ছাড়াই যত্রতত্র দলবেঁধে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে কেনাকাটার জন্য ভিড় করছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিটি সড়কে মোটরসাইকেল, রিকশা-ভ্যান এমনকি সামাজিক দূরত্ব মেনে মানুষজনের চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজারে প্রচুর মানুষের আনাগোনা। বিশেষ করে পোশাক ও জুতার দোকানে নারীদের ভিড় লক্ষ্যনীয়। তারা সঙ্গে শিশু সন্তানদেরও নিয়ে এসেছেন। দোকানগুলোয় গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনছেন তারা। অনেকের মুখেই মাস্ক নেই। দোকানে যারা পণ্য বিক্রি করছেন তাদেরও হাতে অনেকের গ্লাভস এবং মুখেও মাস্ক নেই।
সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়ে একাধিক ব্যবসায়ীর কাছে জানতে চাইলে কোনো প্রকার মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন তারা। পাহাড় পুর ইউপি’র আউলিয়া বাজারে পণ্য কিনতে আসা আবুল ফায়েজ বলেন, মেয়ের জন্য একটি জামা কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু বাজারে মানুষের ভিড় দেখে ভয়ে জামা না কিনে বাড়ি ফিরে যাই। করোনার কারণে সামাজিক দূরত্বের কথা বললেও তা মানা হচ্ছে না। বাজারে মানুষ যেভাবে ঘুরছে তাতে করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি প্রয়োজন।
এদিকে, আমতলী বাজারের এক দোকানদার বলেন, আমরা দোকানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রেখেছি। বিক্রয় কর্মীদের মাস্ক ও গ্লাভস দিয়েছি। কিন্তু ক্রেতাদেরকে এসব নির্দেশনা মানানো যাচ্ছে না। আবার কোন ক্রেতাকে কিছু বললে তিনি আর দোকানে আসবেন না বলে জানায়। যার কারণে আমারা বলতেও পারছি না।
জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ