জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা।। প্রতিদিন সকাল ৮টায় শরীরের তাপমাত্রা ও রক্তচাপ (প্রেসার) মেপে সংশ্লিষ্টদের জানাতে হয়। একদিন ঘুমিয়ে থাকায় সেটা সময় মতো করা হয়নি মোবারক হোসেন পাঠানের। ৮টা ১৭ মিনিটে ছুটে আসেন নার্স। সমস্যা জানতে চান মোবারক হোসেন পাঠান প্রকাশ মোবারকের কাছে।
মোবারক হোসেনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর এলাকার বড় বাজারে। বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুর প্রবাসী। করোনায় আক্রান্ত মোবারকের শারিরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় আইসোলেশন সেন্টার থেকে তাঁকে একটি ক্যাম্পে নিয়ে রাখা হয়েছে।
বিশ্বস্ত একটি সুত্রের মাধ্যমে মোবারক হোসেন তুলে ধরেন তাঁর সুস্থ হওয়ার গল্প। জানালেন, আইসোলেশনে ‘আনন্দঘন’ সময় কাটায় বুঝতেই পারেন নি যে তিনি অসুস্থ। তিনি বলেন, ডাক্তার, নার্সরা নিয়মিত সেবা দিয়েছে। প্রতিদিন তাঁদের সঙ্গে আমাদেরকে নাচতে হয়েছে। স্কুলের শিক্ষার্থীরা শুভেচ্ছা উপহার পাঠিয়েছে। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ফ্রি মোবাইল ডাটা দেওয়া হয়েছে। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে কোনো কিছুরই কোনো ধরণের কমতি ছিলো না। এসব কিছুই মন ভালো করে দেয়।
১০’ই মে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, সিঙ্গাপুরের মানুষদের থেকে আমি প্রতিদিন শিখছি, প্রবাসীদের প্রতি তাদের বিনয়ী মনোভাব আমাকে মুগ্ধ করেছে, এটা আরো বেশি বুঝতে পেরেছি যখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছি। এখানকার ডাক্তার, নার্স, এসেনশিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডার তাদের ভালোবাসা ভুলার মত না।
গত ২৬’শে এপ্রিল তিনি করোনা উপসর্গ বুঝতে পারেন। ২৭ এপ্রিল থেকে একটি হাসপাতালে ও ৩০’শে এপ্রিল থেকে ১১’ই মে পর্যন্ত এক্সপো এক্সিভিশন নামে আইসোলেশন সেন্টারে ছিলেন। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে তাঁকে হোটেল ও জাহাজে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে জানতে পেরেছেন।
জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ