জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা || বহু নাটকীয়তার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের মার্কেট গুলি খুললেও বিপনী বিতানগুলিতে মানা সম্ভব হচ্ছে না সামাজিক দূরত্বসহ সরকারি নির্দেশনা।

বন্দর এলাকার বিভিন্ন মার্কেটের শপিং মলগুলিতে ক্রেতাদের উপছে পড়া ভীড় যেন মিছিল বা গণজমায়েতের মত দেখাচ্ছে। এত ভীরে মানা সম্ভব হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধিও। এমন অবস্থায় বুধবার দুপুরে আশুগঞ্জ বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফিরোজা পারভীন। সামাজিক দূরত্বসহ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় ৪টি কাপড়ের দোকান ও ২টি চালের আড়ৎকে ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ভ্যাম্যমান আদালতে।

উল্লেখ্য গত শনিবার উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে দোকান খোলা রাখা বা না রাখার ব্যাপারে মতবিনিময় করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজিমুল হায়দার। মতবিনিয় সভায় ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করে পরদিন সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে উল্লেখ করেন। পরদিন রোববার সকালে ব্যবসায়ীরা ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আশুগঞ্জে কোন মার্কেট ও বিপনী বিতান খোলা হবেনা বলে জানিয়েছিলেন।

কিন্তু এর একদিন পরই এ সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসেন ব্যবসায়ীরা। সরকারি নীতিমালা মেনেই তারা দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সরাকারি নীতিমালা না মানায় ভ্রাম্যমান আদালতে এ জড়িমানা করা হয়। এসময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা হ্যান্ড মাইকে সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রচারণা চালায়। এ ব্যাপারে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফিরোজা পারভীন জানান, করোনা সংক্রমণরোধে এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সকলকে যার যার অবস্থান থেকে সতর্ক থাকার আহবান জানাান।

জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে