স্টাফ রিপোটার, লক্ষ্মীপুরঃ ত্রাণের বিনিময়ে কুপ্রস্তাব’ লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিপক্ষে ১০ মে, রবিবার লক্ষ্মীপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী শাহজাহান ওরফে কালু মুন্সি।
লক্ষীপুর জেলা সদর ৪ নং চররুহিতা ৯ নং ওয়ার্ড শাহজাহান ওরফে কালু মুন্সি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমি ৪ নং চররুহিতা ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দীর্ঘদিন সম্মানের সহিত কাজ করে যাচ্ছি । বর্তমানে স্থানীয় জুমা মসজিদের সভাপতি এবং মসজিদ, মাদ্রাসার বিভিন্ন সম্মানী পদে আমি দায়িত্ব পালন করতেছি। এছাড়াও এলাকার গরিব দুঃখী মানুষকে সব সময় সাহায্য সহযোগিতা করতেছি।
গত কয়েক বছর থেকে বাচ্চু মিয়া নামের এক ব্যক্তির সাথে দীর্ঘদিন থেকে আমার জায়গা, জমি নিয়ে তার সাথে ঝগড়া বিবাদ চলছে, এলাকার লোকেরা বাচ্চু মিয়া কে ভূমিদস্যু হিসেবে চেনে। গত কয়েকদিন আগে ওই বাচ্চু মিয়া তার ভাগ্নি খানু নামের এক মহিলাকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে একটি কুৎসার রচনা করেন শুধু তাই নয় তাকে দিয়ে লক্ষ্মীপুর মডেল থানায় আমার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। ওই খানু নামের মহিলাটিকে আমি চিনিনা। ওই বাচ্চু মিয়া খানু বেগমকে দিয়ে বিভিন্ন সংবাদ,মিডিয়াকেও আমার পিছনে লেলিয়ে দেয়, এতে করে আমার পরিবার পরিজন এলাকাবাসী এবং আমার রাজনীতি নেতৃবৃন্দের কাছে আমি হেয় প্রতিপন্ন হয়।
বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা বাইরাছে দেশে যখন লকডাউন এ পড়েছে তখনই আমার পরিবার তথা আমার দুই ছেলে প্রবাসে থাকে। আমার বাড়িতে এক ছেলে এবং আমার এলাকার যুবসমাজ মিলে আমার ছেলেদের পাঠানো অর্থ দিয়ে প্রায় ৫০০টি পরিবারের কর্মহীন ব্যক্তিদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করে। আমি ওই ত্রাণের বিতরনের কোন দায়িত্বে ছিলাম না।
ত্রাণ বিতরণের সময় আমার ছেলে ও আমার এলাকার যুবসমাজেরা মিলে ত্রাণ বিতরণ একটা তালিকা তৈরি করে। ওই তালিকা দেখে দেখে তারা ত্রাণ বিতরণ সম্পন্ন করে। খানু নামের মহিলাটির মা ত্রান নেওয়ার জন্য আমাদের বাড়িতে আসে আমি নিজ চোখে দেখেছি তিনি ত্রাণ নিয়ে চলে গিয়েছেন। এছাড়াও ওই বাড়ির তার ভাই, ভাবি আত্মীয়-স্বজনেরা বিভিন্নভাবে ত্রাণ নিয়ে গেছে। খানু নামের ওই মহিলাটিকে আমার ছোট ছেলে নিজ হাতে তাকে ত্রাণ দিয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় ওই খানু গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছে আমার কাছে নাকি সে ত্রাণের জন্য এসেছে। আমি এই ত্রাণ বিতরণ সম্পর্কে কিছু জানিনা।
লক্ষ্মীপুর নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ