বর্ধিত বেতন-ভাতা কার্যকরের দাবীতে, কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে লাইটার জাহাজ শ্রমিকরা। যদিও ইতিমধ্যেই নতুন কাঠামো অনুসরণ করে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা জাহাজগুলো থাকবে এ কর্মসূচীর আওতামুক্ত। মালিকপক্ষের দাবী, গেল বছরের শেষদিকে বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হলেও উপকূলীয় জাহাজ মালিকদের নির্বাচনের কারণে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যায়নি। তবে যে কোন মূল্যে শ্রমিকদের কর্মবিরতি থেকে সরে আসার আহবান জানিয়েছেন লাইটার জাহাজ মালিক আর মাদার ভ্যাসেল মালিকদের প্রতিনিধিরা।

গত বছরের অক্টোবরে তিন ক্যাটাগরিতে অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারি নৌযান শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয় আগের তুলনায় ৯০ শতাংশেরও বেশি। তবে তা কার্যকর হয়েছে আংশিক। তাই ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুরোটা বাস্তবায়ন না হলে পরদিন থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে শ্রমিকরা।তাদের অভিযোগ, সম্প্রতি জাহাজ ভাড়া বেড়েছে। তারপরও দেয়া হচ্ছেনা বর্ধিত মজুরি। কিছু জাহাজ মালিক ইতোমধ্যে সমন্বিত মজুরি পরিশোধ শুরু করছেন উল্লেখ করে শ্রমিক নেতারা জানান, বর্ধিত বেতন-ভাতা পরিশোধকারি জাহাজগুলো কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে।

আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি উপকূলীয় জাহাজ মালিকদের নির্বাচন। এ নিয়ে ব্যস্ততার কারণেই শ্রমিকদের মজুরির ব্যাপারে এতোদিন নজর দেয়া যায়নি জানিয়ে জাহাজ মালিকরা বলছেন, ভোটের পর সংকট কেটে যাবে। গেল বছর ৩ ধাপে বেতন বৃদ্ধির দাবীতে মোট ৭ দিন কর্মবিরতি পালন করে শ্রমিকরা। যার চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়ে গোটা আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে। তাই আন্দোলনের এমন পথ পরিহারের আহবান শিপিং এজেন্টদের। চট্টগ্রামসহ সারাদেশে আমদানি পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত প্রায় দেড় হাজার লাইটার জাহাজ ও ট্যান্কার। যাতে কর্মরত প্রায় ২৫  হাজার শ্রমিক।

নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে