ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতাঃ দেশের এই দুর্দিনে জনগণকে ব্যাপসা গরম থেকে রক্ষা করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারা মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে ও জনগনের সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। তারা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে সর্বোতভাবেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যাতে করে বিদ্যুত সরবরাহ সচল থাকে।
সেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মতে তারা বলেন,
আমরা দেশকে ভালবাসি,দেশের জন্য কাজ করি, সকালে ঘর থেকে বের হই, রাত ৯ টায় ঘরে ফিরি, আমরা ঘড়ির কাটা ধরে চাকুরী করিনা । রোদ,ঝড় বৃষ্টি,তুফান,সবাই যখন ঘরের ভিতর আশ্রয়ে ঢুকে, আমরা তখন পথে পথে ঘুরি,আর চেষ্টাকরি কতো তাড়াতাড়ি আপনার ঘরকে আলোকিত করতে পারি।গরমে আপনাদের কষ্ট হবে ভেবে, দিন রাত ২৪ ঘন্টায় পাহারায় থাকি। ভয়ংকর ছোয়াচে মৃতুর দুত করোনা হতে নিরাপদ দুরত্বে ও ঘরে লকডাউন থাকতে সরকারের যে নির্দেশ আছে,আমরা সেটাকে তোয়াক্কা না করে আপনাদের জন্য পথে থাকছি,আপনারা ঘরে থাকুন, আমরা পাহাড়ায় আছি।সব সময় জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে কাজ করতে আমরা অভ্যস্থ হয়ে গেছি, কখনো কখনো উচ্চ ভোল্টেজের লাইনে ভালবাসায় আমাদের জড়িয়ে ধরে,
এ ভালবাসার তীব্রতা এতই বেশি যে,ভিতরটা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে কালো অঙ্গারের মতন বানিয়ে ঝুলিয়ে রাখে।কথাদিচ্ছি ,আমরা আপনার পাশে আছি,পাশে থাকবো, আপনার হাসপাতাল, অপারেশন টেবিল, মিল,কারখানা,গার্মেন্স,ফ্যাক্টরী ,থানা, সেনাছাউনি,ক্যান্টমেন্ট,অফিস,আদালত,মন্ত্রনালয়,সংসদ,সর্বত্র। (ওহ সরি ,ব্যাংকের নাম নিতে ভুলে গেছি,মাফ করবেন)
আসলে অন্ধকার আমাদের সহ্য হয়না ,কারন আমরা আলোর ফেরিওয়ালা , আমরা আলো বিলিয়ে দিয়ে অন্ধকার দূর করি এটাই আমাদের ধর্ম। আমাদের কোন বিশেষ প্রনোদনার দরকার নেই, প্রনোদনা ও ঝুকিঁভাতা ছাড়াই আমরা দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি নিরলসভাবে এবং কাজ করেই যাবো ,ইনশাআল্লাহ।কারন আমরা আলোরফেরীওয়ালা।
জহির সিকদার
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ