ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতাঃ লকডাউন অমান্য করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পা কেটে নেয়া মোবারক মিয়া (৪৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।

মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তবে বিষয়টি বুধবার (১৫ এপ্রিল) সকালে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন। মোবারক থানাকান্দি গ্রামের মধু মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ১২ এপ্রিল নবীনগর উপজেলার থানাকান্দি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও থানাকান্দি গ্রামের সর্দার আবু কাউসার মোল্লার সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। কয়েক দফায় চলা ওই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে জিল্লুর রহমানের সমর্থক মোবারক মিয়ার এক পা কেটে নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে গ্রামে আনন্দ মিছিল করেন আবু কাউসার মোল্লার সমর্থকরা। মিছিল থেকে পায়ের বদলে মাথা কেটে নিয়ে আসার কথাও বলা হয়। এছাড়াও সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।পরে মোবারককে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসা হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তিনদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটায় মোবারক মৃত্যুবরণ করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, সংঘর্ষের এ ঘটনায় দুই পক্ষের প্রধান দুই হোতাসহ ৪২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। নিহতের পরিবারের অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জহির সিকদার
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে