হারিয়ে যেতে বসেছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের ভাষা। বাংলার ব্যবহার বাড়ার পাশাপাশি ভিনদেশী সংস্কৃতির আগ্রাসন, পাল্টে দিচ্ছে তাদের ভাষার ব্যবহার। এতে, পরিবর্তিত হচ্ছে তাদের স্বাভাবিক ভাব প্রকাশ। হুমকির মুখে সংস্কৃতিও। বিশ্লেষকদের মতে, ক্ষুদ্র জাতিস্বত্তার ভাষা সংরক্ষণে এগিয়ে আসতে হবে, সব মহলকে।

অন্যদের বোঝা হয়ত কঠিন। তারপরও মায়ের ভাষায় কথা বলার এ যেন অন্যরকম এক আনন্দ। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্টির মধ্যে সবচেয়ে বড় সম্প্রদায় চাকমা। যাদের আছে নিজস্ব ভাষা।  শত শত বছর ধরে এই ভাষা আকড়ে বেড়ে উঠা তাদের। কিন্তু কালে কালে তাতেও লাগছে বিলুপ্তির আঁচড়। ভাষার এই ঐশ্বর্যে টান লেগেছে আরেক বড় জনগোষ্টি ত্রিপুরাদের বেলায়ও। যাদের বেশিরভাগের বাস খাগড়াছড়িতে। একইভাবে বান্দরবানে যাদের আধিক্য বেশি সেই মারমারাও নিজস্ব ভাষা ধরে রাখা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এরমধ্যে ম্রো, খুমী কিংবা বোম জনগোষ্ঠী তাদের ভাষার ব্যাপারে সচেতন হলেও নানা আগ্রাসনে তারাও হতাশ। তিন পার্বত্য জেলায় নৃ-গোষ্ঠী আছে ১৪টি। প্রত্যেকেরই আছে নিজস্ব ভাষা। তাতে ভাষাগত মিল না থাকলেও কোন না কোনভাবে সবাই হারাতে বসেছে মায়ের বুলি। গবেষকদের মতে, এটার বড় কারণ-ক্ষূদ্র নৃগোষ্টির ভাষা রক্ষায় উদাসীনতা।

এবারই প্রথম নৃগোষ্টির নিজস্ব ভাষায় শিক্ষার্থীদের বই দিয়েছে সরকার। এটা ভাষা রক্ষায় আপাতত কিছু কাজ দিলেও, সার্বিকভাবে দরকার আরও বড় উদ্যোগ-এমনটাই মত গবেষকদের। ভাষা হারিয়ে গেলে নিজেদের বৈচিত্রময় সংস্কৃতি হারাবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্টি-তার সার্বিক প্রভাব পড়বে জাতীয় সংস্কৃতিতেও-এমন আশংকা গবেষকদের।

নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইমস নিউজ ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে