রাজধানীর অধিকাংশ বেসরকারি স্কুল শিশুদের ব্যাগের বোঝা কমানো নির্দেশনা মানছে না। পড়ানো হচ্ছে বাড়তি বই।সরকার নির্ধারিত পাঠ্য বইয়ের বাইরে ২২টি পর্যন্ত বই পড়ানো হচ্ছে অনেক স্কুলে। শিক্ষাবিদদের অভিযোগ, বাণিজ্যিক ফায়দা নিতে পড়ানো হয়, বাড়তি বই। অভিযোগের সত্যতা মিলেছে নীলক্ষেতে বইয়ের দোকানে ঘুরেও। যে পড়ালেখা শুরু হওয়ার কথা খেলার ছলে, তা যেন এখন শাস্তি। বিদ্যার বোঝা কত ভারী, তা হাড়ে হাড়ে টের পায় এই শিশুরা।

শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড পঞ্চম শ্রেণিতে পাঁচটি বই ঠিক করে দিলেও, উদয়ন স্কুলে পড়ানো হয় ১১টি। এমনকি স্কুলে প্রথম বছর থেকেই অতিরিক্ত ৩টি বই পড়তে হচ্ছে শিশুদের। সবচেয়ে বেশি ২২টি বাড়তি বই পড়ানোর হয় উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের প্রাথমিকে। ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১৭, বিয়াম স্কুলে ২০টি আর উদয়নের পড়ানো হচ্ছে ২১টি বাড়তি বই।অথচ, শিশুদের বই কমানো নিয়ে গত ৭ ডিসেম্বর, উচ্চ আদালত যে নির্দেশনা দিয়েছেন, সেখানে বলা হয়েছে, শিশুর শরীরের ওজনের ১০ শতাংশের বেশি ভারি হবে না তার ব্যাগ।

কিন্তু, এখন পর্যন্ত আদালতের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কোনো অগ্রগতি নেই। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, বাড়তি বইয়ের চাপে নষ্ট হতে পারে শিশুদের ভবিষ্যৎ। অভিযোগ, বাণিজ্যক ফায়দা নিতেই বাড়তি বই পড়াচ্ছে স্কুলগুলো।বাড়তি বই পড়ালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কী এমন লাভ? রাজধানীর নীলক্ষেতে বইয়ের দোকানে দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেলো তার জবাব। রীতিমতো তালিকা করে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে নামি দামি স্কুলের বই। আর এই বাড়তি বই বিক্রির লাভ চলে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয়।

তবে, এ নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে নাজার স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, গভর্নিং বডি আর অভিভাবদের পরামর্শেই পাঠ্যবইয়ের সংখ্যা বাড়ানো হয়।

নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইমস নিউজ ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে