বাংলা ভাষার মাধ্যমে বাঙালি জাতি গঠন: বাংলা ভাষার আবির্ভাব খুব সহজ পথে হয়নি। রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও ধর্মে সহজে স্বীকৃতি পায়নি।যদিও বাংলা ভাষা সব সময়ই ছিল গনমানুষের ভাষা। শক্তিশালী কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর কারনে বাংলা ভাষাকে সংস্কৃত, আরবি,ফরাসি, উর্দূ ও ইংরেজি – পাঁচ টি বিদেশী ভাষার সাথে যুদ্ধ করতে হয়েছে। সংস্কৃত ভাষার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিল ব্রাহ্মণেরা।হিন্দু শাস্ত্র বঙ্গানুবাদ নিষেধ করা হয়। বাংলা ভাষায় হিন্দু ধর্মের চর্চাও নিষেধ করা হয়। এই সবের পিছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলা ভাষী সংখ্যাগরিষ্ঠ শূদ্রেরা যাতে হিন্দু ধর্ম চর্চা না করতে পারে। কিন্তু ব্রাহ্মণদের হামলা থেকে উদীয়মান বাংলা ভাষাকে রক্ষা করে মুসলিম রাজাদের আনুকূল্য ও গনমানুষের সমর্থন। হিন্দুদের জন্য যেমন পবিত্র ভাষা সংস্কৃত তেমনি মুসলমানদের জন্য পাক ভাষা আরবি।বাংলা ভাষা সংস্কৃত ভাষা থেকে উদ্ভূত। কাজেই এর শব্দসম্ভারে পৌত্তলিকতার ছাপ আছে সুতরাং বাংলা ভাষায় ইসলাম সম্পর্কে লেখা যাবে না বলে ফতোয়া দিলেন মোল্লা-মৌলভীরা।ফারসি ভাষা ছিল মুসলমান শাসকদের ভাষা। মুসলমান শিক্ষিত ব্যক্তিরাই নয় বাংলার অভিজাত হিন্দুরাও অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত ফারসি ভাষা চর্চা করত।উর্দু বা ফারসি ভাষী অনেক বহিরাগত মুসলমান বাংলায় বসতি স্থাপন করে। ফলে তৎকালীন সময় অভিজাত শ্রেনীর লোকেরা বাংলা ভাষাকে ছোটলোকের ভাষা হিসাবে ঘৃণার চোখে দেখত। এই ভাবেই সংস্কৃত,আরবি,ফারসি ও উর্দু ভাষা বাংলার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে আবির্ভূত হয়। কিন্তু সাধারণ মানুষের সমর্থন বাংলা ভাষাকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ইংরেজ রাজত্ব কালেও বাংলা ভাষা অসমপ্রতিকূলতায় পড়ে।সাধারন মানুষের সমর্থনই ছিল বাংলা ভাষার বড় শক্তি। পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী উর্দু ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসাবে চাপিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র কে প্রতিহত করে বাংলার সাধারন মানুষই।কারো কারো মতে বাংলাদেশে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন শুরু হয়নি, বাংলাদেশে ভাষা আন্দোলন শুরু হয়েছিল কমপক্ষে সাতশত বছর আগে, যখন বাঙালি কবি সাহিত্যিকেরা মোল্লা -মৌলভীদের ফতোয়াকে অগ্রাহ্য করে বাংলা ভাষায় ইসলামের বাণী প্রচারের ব্যবস্হা করেন। আর সেই আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে বুকের রক্ত দিয়ে বাংলার সাধারন মানুষ তাদের ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করে। সুদীর্ঘ বাংলা ভাষা আন্দোলনই বাংলাদেশে বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে প্রাণ সঞ্চার করেছে।

                                         লেখক ও কলামিস্ট কাজী বর্ণ উত্তম
বাংলা ভাষা  ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন: 
পাকিস্তান সৃষ্টির মূল বক্তব্য ছিল যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে তারা এক জাতি,এক দেশ।সেখানে ভৌগলিক দূরত্ব, ভাষা,সংস্কৃতি, জনগোষ্ঠীর আচার আচরন কোন কিছুই বিচার করা হয়নি। তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান(বর্তমান বাংলাদেশ) আর পশ্চিম পাকিস্তানের (বর্তমান পাকিস্তান) সাথে ইসলাম ধর্ম বাদে আর যোগসূত্র ছিল ইংরেজি ভাষা এবং পিআইএ নামে একটি বিমান কম্পানি। অথচ ভৌগলিক ভাবে অবিচ্ছিন্ন আরবি ভাষী প্রায় ১৯টি মুসলমান দেশ আমরা দেখতে পাই। প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশ ইতিহাসের কোন পর্যায়ে স্বাধীন ও ঐক্যবদ্ধ ভাবে আপন রাষ্ট্র গড়ে তোলার সুযোগ পায়নি। ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল বাঙালি জাতিয়তাবাদী আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক সময়,১৯৫২ ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ শিক্ষা আন্দোলন ১৯৬৯ এর গনঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালে চূড়ান্ত স্বাধীনতার মধ্যে দিয়ে  বাংলাদেশ সৃষ্টির মাধ্যমে  বাঙালি জাতি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। এই সৃষ্টির মহান নায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

[১৯৯৯ সালের ৬’ই মার্চ যশোরে কেন্দ্রীয় উদীচীর দ্বাদশ সম্মেলনে বোমা হামলা বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়….হামলা ছিল বাঙালি সংস্কৃতির উপর -হামলা ছিল বাঙালি জাতি সত্তার আন্দোলনের উপর আঘাত।]

উদীচীর জন্ম: বাঙালি জাতিয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িক, সাংস্কৃতিক  আন্দোলনের সৃষ্ট ফসল গুলোর অন্যতম হল উদীচী সংগঠন গঠন, ১৯৬৮ সালে কথাশিল্পী সত্যেন সেন, রনেশ দাশ গুপ্ত, শহিদুল্লাহ কায়সার সহ এক ঝাঁক তরুণ তরুণী গড়ে তোলেন সাংস্কৃতিক সংগ্রাম আর এ সংগ্রাম ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম বাংলার পথে ঘাটে। উদীচীর কর্মীরা ১৯৬৮-৬৯-৭০’র আন্দোলনে এবং ৭১ সালের মুক্তি যুদ্ধে প্রত্যক্ষ ভাবে অংশ গ্রহণ করে। দেশের সকল গণতান্ত্রিক, মৌলবাদ বিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামে উদীচী  বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছে।উদীচীর মূলনীতি-‘এ যুগের চারণ মোরা, মানুষের গান শুনিয়ে যাই যেখানে মতের বিভেদ, মিলনেরই মন্ত্র শোনাই…’।জন্মলগ্ন থেকে উদীচী অধিকার, স্বাধীনতা ও সাম্যের সমাজ নির্মাণের সংগ্রাম করে আসছে।উদীচী  গন সংগীত-  গান-নাটক-কবিতা নিয়মিত মঞ্চস্থ করেছে। কখনো কখনো শত্রুর চোখরাঙানি, বুলেট, বোমা থামিয়ে দিতে চেয়েছে উদীচীর কর্মকাণ্ড। কিন্তু সত্যেন সেনের সঞ্জীবনী সংগীত ‘মানুষের কাছে পেয়েছি যে বাণী তাই দিয়ে রচিত গান মানুষের লাগি ঢেলে দিয়ে যাব মানুষের দেওয়া প্রাণ’ উদীচীর কর্মীদের নিরন্তর অনুপ্রাণিত করেছে। কর্মীরা ছুটে গেছে মানুষের কাছে। মানুষের মন জাগাতে, নিপীড়িত মানুষের মুক্তির আদর্শে অনুপ্রাণিত করতে।

বাঙালি জাতীয়তাবাদ-বাঙালি জাতি রাষ্ট্র-সভ্যতা- সুশাসন-বাংলা সংস্কৃতি -সাম্যের লড়াই : এই বাঙালি জাতি রাষ্ট্রের শত্রুরা আজও পিছু ছাড়েনি। তাদের বক্তব্য বাঙালি জাতীয়তাবাদ ভাষা ভিত্তিক আর বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ভূখণ্ড ভিত্তিক। আসলে ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশ নামে কোন ভূখণ্ড ছিলনা। বাংলাদেশের ভূখণ্ড হচ্ছে সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের ভূখণ্ড। সাবেক পূর্ব পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছিল মুসলমান সংখ্যার ভিত্তিতে। কাজেই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ -সম্পর্কিত তত্বের পেছনে লুকিয়ে আছে ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদ। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ – তথা ধর্মভিত্তক জাতীয়তাবাদ গোষ্ঠী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি থেকে রক্ষার জন্য  ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করে। কর্নেল ফারুক, কর্নেল রশিদের মতো বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে পৃষ্ঠপোষকতা করে। স্বাধীনতা বিরোধীদের পৃষ্ঠপোষকতা করে। প্রধানমন্ত্রী বানায় শাহ আজিজুর রহমানের মত আত্মস্বীকৃত রাজাকার কে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রচিত যে সংবিধান সে সংবিধান কাটাছেড়া করে ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র বাদ দেয়।গোলাম আজমের মত অাত্মস্বীকৃত স্বাধীনতা বিরোধী কে দেশে ফেরার সুযোগ দেয়। বাংলাদেশে টাকা দিয়ে কেনাবেচার রাজনীতি চালু করে। দল কেনাবেচা, দল ভাঙা, সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার সাহায্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভেঙে নতুন দল  করার ধারা প্রবর্তন করে। আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই কর্মকাণ্ডের ভূক্তভোগী হয়। টাকা দিয়ে আদর্শ কেনাবেচা করে দল গঠন করার সংস্কৃতি চালু তারাই করে বাংলাদেশে। ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫’ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকীর জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন পালন করে। একাত্তরের রাজাকার-আলবদরদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেয়। নব্বই দশকে বাংলাদেশে ধর্ম ভিত্তিক উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠীর উত্থান ঘটে যা এখন দৃশ্যমান হলেও তখন শুরুতে দৃশ্যত ছিল না। ১৯৯৯ সালের ৫ ও ৬ মার্চ যশোর টাউন হল ময়দানে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে ৬’ই মার্চে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন বোমা দু’দফা বিস্ফোরিত হয়। বোমা বিস্ফোরণ এ ১০দশজন নিহত হন এবং ১৫০ জনের মতো মানুষ আহত হন। সে দৃশ্য ছিল ভয়াবহ। ১৯৭১ সালের পর যশোরের মানুষ এ রকম ভয়াবহতা আর দেখেনি।যশোরের মানুষের কাছে চিরঋণী উদীচী। মধ্য রাতে যশোরের হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে,যশোর সদর হাসপাতাল ছিল সেই জনস্রোতের কেন্দ্র, শত শত মানুষ সেই রাতে রক্ত দেওয়ার জন্য দাড়িয়ে পরে। বহু মানুষ নগদ সহায়তা করে পরের দিন উদীচী নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে। বোমা হামলার পরের দিন নির্জন দুপুর বেলা যখন উদীচী অফিসে কেউ ছিল না, তারা যশোর উদীচী অফিসে দরজা জানালো ভেঙে প্রবেশ করে এবং অফিস তছনছ করে, তারা কিসের সন্ধানে এসেছিল তা আজও রহস্যময়। বোমা হামলা করে অসাম্প্রদায়িক চেতনা, বাঙালি জাতি সত্তা ধ্বংস করার আরও ঘটনাবলী ঘটতেই থাকে। ৮ অক্টোবর ‘১৯৯৯ খুলনা শহরে আহমদিয়া মসজিদে বোমা হামলা -নিহত ৮জন, ২০জুলাই’২০০০ গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্য ৭৬কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়,২০ জানুয়ারি’ ২০০১ সিপিবির জনসভায় বোমা হামলা, ১৪ এপ্রিল’২০০১ বোমা হামলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলাকালে রমনা বটমূলে, ৩ জুন’২০০১ গোপালগঞ্জ এ গির্জায় বোমা  হামলা, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই গোষ্ঠী আরও একটি  বড় বিভাজন রেখাটি তৈরি করেছিল ২০০৪ সালে একুশে আগস্ট  গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে, ২০০৫’ ৮ ডিসেম্বর নেত্রকোনা উদীচী অফিসে বোমা হামলা। ১জুলাই’২০১৬’ গুলশানের হলি আর্টসানে নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে দেশে জঙ্গিবাদ এক ভয়ংকর স্তরে পৌঁছেছে।

২০০৭ সালে গ্রেপ্তার হওয়া হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি হান্নান ১৯ নভেম্বর আদালতে উদীচী বোমা হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। হৃদয় ব্যথিত হয়  বাঙলি জাতীয়তাবাদ আন্দোলনের সবচেয়ে বড় পার্টি বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ দীর্ঘদিন  রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা অবস্থায়ও ১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ,যশোরে  উদীচীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনে বোমা হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার আজও শেষ হয় না । যারা দ্বায়িত্বে থেকেও অবহেলা করছেন তাদের স্মরণ করাতে চাই – আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য মুগ্ধ করেছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বাংলা ও বাঙালির জন্য তিনি যেমন আমরণ যুদ্ধ করে গেছেন, তেমনি এ দেশ ও মাটির মূল সংস্কৃতিকে  তিনি ধারণ করেছেন মনে-প্রাণে। বাংলাকে ভালোবেসেই তিনি বাঙালিকে ভালোবেসেছেন। এক কথায় তিনি ছিলেন আপাদমস্তক এক সংস্কৃতি অন্তঃপ্রাণ ব্যক্তিত্ব। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের পর পহেলা বৈশাখ উৎযাপন( যেখানে আজ সারাদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ অংশগ্রহণ করেন) সবচেয়ে বড় সফলতা বাঙালি জাতি রাষ্ট্র গঠনে। তবুও বোমা হামলায় ব্যর্থ হয়ে কুচক্রী মহল নানা কৌশলে এটাকে বন্ধ করতে চায়। যে কারনে আমরা দেখি আজ সদ্য গড়ে ওঠা ভূঁইফোড় সংগঠনের অপসংস্কৃতি চর্চা। দেখি এখনো বোমার হুমকি- যার ফলস্বরূপ নিরাপত্তার নামে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানের সময় নিয়ন্ত্রণ করা, ট্রাফিক ব্যবস্হা নিয়ন্ত্রণের নামে মানুষ কে নিরুৎসাহিত করা।

ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। বসন্ত কে বলা হয় ঋতুরাজ। বসন্ত উৎসব ও আস্তে আস্তে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কিন্তু  ভালোবাসা দিবস পালন করতে বা বলতে  এক শ্রেনীর মানুষ বুঝে আবার না বুঝে  পালন করতে বেশী ব্যস্ত। নিজের সংস্কৃতি বসন্তের মধ্যেই ভালোবাসর রং লুকিয়ে আছে সেটা বুঝতে আরও সময় অপেক্ষা করতে হবে হয়তো। সাধারণ মানুষের সমর্থনে  বাঙালি জাতি রাষ্ট্রের  আন্দোলন এগিয়ে যাবে ইতিহাস সেই কথাই বলে,বোমা হামলার পর উদীচী,ছায়ানট সহ সকল অনুষ্ঠানে আগের মত মানুষ আসতে ভয় পেতো, এখন আস্তে আস্ত সেই ভয় কেটেছে, হয়তো পিছিয়ে দিতে পেরেছে কিন্তু কখনোই সফল হয়নি ইতিহাস সেই কথায় বলে-

লড়াই ছিল ভাষার জন্য….
লড়াই ছিল জাতি গঠনের জন্য…
লড়াই ছিল দেশের জন্য…
লড়াই ছিল ভূখণ্ডের জন্য…
লড়াই আছে বাঙালি জাতি সত্তার জন্য…
লড়াই আছে বাঙালি জাতি রাষ্ট্রের জন্য…
লড়াই আছে সুশাসনের জন্য….
লড়াই আছে  সভ্যতার জন্য…
লড়াই আছে উন্নত দেশের জন্য……
লড়াই আছে সাম্যের জন্য।।
উদীচী এ দেশের প্রগতিশীল সংস্কৃতির শক্তিশালী ধারা বহন করে চলেছে।’ সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

লেখক : কাজী বর্ণ উত্তম, লেখক ও কলামিস্ট
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে