ঢাকার রাস্তায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের কারণে প্রতিদিনই কিছু যানবাহন বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং নিয়ে যাওয়া হয় ডাম্পিং স্টেশনে। ঢাকায় ট্রাফিক বিভাগের কোন স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন না থাকলেও প্রায় সবসময়ই গড়ে প্রায় হাজারখানেক গাড়ি থাকে এসব ডাম্পিং স্টেশনে। যেখানে বিভিন্ন মামলার আলামতের গাড়িও পড়ে থাকে বছরের পর বছর ধরে।
ঢাকার আগারগাঁওতে ট্রাফিক পুলিশের দুটি ডাম্পিং স্টেশনের ছবি তুলেছেন সংবাদদাতা মীর সাব্বির। আগারগাঁওয়ের মূল ডাম্পিং স্টেশনটি একটি সরকারী জায়গার ওপরে। এখানকার কিছু গাড়ি ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের কারণে সাময়িক সময়ের জন্য রাখা হলেও অনেক গাড়ি রয়েছে বছরের পর বছর পড়ে থেকে অনেক গাড়ির গা বেয়ে উঠেছে লতাগুল্ম। ঘন লতাগুল্মের কারণে কিছুদুর যাবার পর এগুনোই কঠিন। রিকশা থেকে শুরু করে বড় ট্রাক, সব ধরণের যানবাহনই রয়েছে ডাম্পিং স্টেশনে। ট্রাফিক আইনে আটক অধিকাংশ গাড়ির মালিক বা চালক এসে নিয়ে গেলেও থেকে যায় বিভিন্ন থানা থেকে আসা মামলার আলামত। কোন কোন গাড়ি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পড়ে আছে ডাম্পিং স্টেশনে। ঢাকা পড়েছে পাতার নীচে। পুলিশ বলছে, দিনে গড়ে ২০ থেকে ৩০ টি গাড়ি আসে ডাম্পিং স্টেশনে।
প্রচুর পরিমাণে মোটর সাইকেল রয়েছে এই ডাম্পিং স্টেশনটিতে। যার অনেকগুলোই নম্বরবিহীন। বিশেষ অভিযানের সময় ডাম্পিং স্টেশনে গাড়ি আসার পরিমাণও বেড়ে যায় আগারগাঁওয়ে অপর ডাম্পিং স্টেশনটি রাস্তার ওপরেই। দুই লেইন বিশিষ্ট রাস্তার একটি পাশের পুরোটি জুড়েই রয়েছে এই ডাম্পিং স্টেশন। মামলার আলামতের পাশাপাশি বেওয়ারিশ গাড়িরও জায়গা হয় এখানে। দুর্ঘটনা কবলিত বিভিন্ন গাড়িও রয়েছে এসব স্টেশনে।
দীর্ঘসময় পড়ে থাকায় একদিকে যেমন গাড়ি নষ্ট হচ্ছে, আরেকদিকে রাস্তার ওপরে গাড়ি রাখায় ব্যহত হচ্ছে যান চলাচল। ট্রাফিক বিভাগ বলছে, স্থায়ী কোন ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় তারা নিরুপায় হয়েই এসব স্থানে গাড়ি রাখতে বাধ্য হচ্ছেন।