প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অলিম্পিকসে সরাসরি অংশ নেয়ার সুযোগ পাওয়া ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা অর্জন মনে করছেন সিদ্দিকুর রহমান। তার এই কীর্তি তরুণ অ্যাথলিটদের আরো উজ্জ্বীবিত করবে বিশ্বাস করেন সিদ্দিকুর। রিও অলিম্পিকসে ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে থাকতে চান তিনি।

১৯৮৪ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক থেকে ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক। সবমিলিয়ে দ্য বিগেস্ট শো অন আর্থের আট আসরে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবারই ওয়াইল্ড কার্ড হিসেবেই দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে হয়েছে অ্যাথলিটদের।

এবারে সিদ্দিকুরের হাত ধরে উন্মোচিত হয়েছে নতুন দিগন্ত। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সরাসরি মূল আসরে অংশ নিচ্ছেন সিদ্দিকুর। অলিম্পিক বাছাই র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ৬০ এ থেকেই জায়গা নিশ্চিত করেছেন রিও অলিম্পিকসে। ৫ আগস্ট রিওতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লাল-সবুজের পতাকা থাকবে সিদ্দিকের হাতে। সেই মুহুর্তের অপেক্ষায় শিহরিত দেশসেরা গলফার।

গলফ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন সিদ্দিকুর। খেলেছেন ইউরেশিয়ায়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করিয়েছেন দেশের গলফকে। রিওতে নিজের সেরাট নিংড়ে দেয়ার প্রতিক্ষায় আছেন সিদ্দিক। জিকা আতঙ্কে নামী-দামী গলফারদের অনেকেই অলিম্পিকস থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তবে রিওর আবহাওয়া ও পরিস্থিতি নিয়ে খুব বেশি ভীতি কাজ করছেনা সিদ্দিকুরের মনে। পদকের স্বপ্ন হয়ত সিদ্দিকুর নিজেও দেখেননা। রিওতে পারফর্মেন্স যেমন-ই হোক সিদ্দিকুরের নাম বাংলাদেশ অলিম্পিক ইতিহাসে লেখা হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে