দীর্ঘ ৯ দিনের সরকারি বন্ধের পাশাপাশি নানা জটিলতার মুখে চট্টগ্রাম বন্দরে সৃষ্টি হয়েছে মারাত্মক কন্টেইনার ও জাহাজ জট।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড এবং জেটিতে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ কন্টেইনার যেমন রয়েছে, তেমনি বন্দরের প্রধান জেটি এবং বর্হিনোঙরে পণ্যবোঝাই জাহাজ রয়েছে ৮৫টি।
এতে প্রতিটি বিদেশি জাহাজকে বাড়তি সাত থেকে আটদিন পর্যন্ত বন্দরে অবস্থান করতে হওয়ায় দিনে অন্তত ১৫ হাজার ডলার ক্ষতি হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। ৩৬ হাজার ৩’ম ৫৭ টি ইউ এস ধারণ ক্ষমতার চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে কন্টেইনার রয়েছে ৩৬ হাজার ৮১টি । তবে রবি, সোম এবং মঙ্গলবারে এ সংখ্যা ছিলো ৩৭ হাজারের বেশি।
অথচ ইয়ার্ড এবং জেটিতে কন্টেইনারবাহী লরিসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলের জন্য ৩০ শতাংশ জায়গা খালি রাখতে হয়। কিন্তু টানা ৯ দিনের বন্ধে ডেলিভারি প্রক্রিয়া ধীর গতির কারণে দেখা দিয়েছে কন্টেইনার জট । সবশেষ তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে পণ্যবাহী দেশী-বিদেশী ৮৫টি জাহাজ অবস্থান করছে। এর মধ্যে বর্হিনোঙ্গরে ৬২টি জাহাজের অবস্থান থাকলেও পণ্য খালাস চলছে মাত্র ১৭টি জাহাজ থেকে। এ অবস্থায় প্রতিনিয়ত জরিমানার মুখে পড়তে হচ্ছে শিপিং ব্যবসায়ীদের।
বন্দর কর্মকর্তাদের দাবি, ঈদে ৯ দিন সরকারি বন্ধ যেমন ছিলো, তেমনি ঈদের পর কাস্টমসে সফটওয়ার আপগ্রেড করতে গিয়ে দু’দিন বন্ধ রাখতে হয়েছে কন্টেইনার ডেলিভারি। এদিকে, বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন গড়ে দু’ থেকে আড়াই হাজার কন্টেইনার ডেলিভারি দিলেও বিভিন্ন জাহাজ থেকে তার থেকেও বেশি কন্টেইনার গ্রহণ করে ইয়ার্ডে রাখতে বাধ্য হচ্ছে।