উন্নত দেশে জীবন ও সম্পদের উপর বীমা বাধ্যতামূলক। আমাদের দেশে সে নিয়ম এখনো চালু না হলেও পাশের দেশগুলোর অর্থনীতিতে বীমার অবদান অনেক। তারপরও বাজেটে নেই এ খাত নিয়ে কোন বরাদ্দ কিংবা নির্দেশনা।

যদিও অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় কয়েকটি বাক্যে এ খাতের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেছেন। তবে বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠনের দাবি, তাদের পরামর্শ ও দাবির প্রতিফলন নেই বাজেটে।একটু ভাল জীবন যাপনের নিশ্চয়তা কে না খোঁজেন? চান সম্পদ সংরক্ষণেরও নিরাপত্তা। সেই সঙ্গে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ব্যবস্থা চান সচেতন অভিভাবকরা। সেই জন্যই সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে উন্নত দেশে বীমা অন্যতম একটি আবশ্যিক কার্যক্রম।

বাংলাদেশে আশির দশকে বেসরকারি খাতে বীমা ব্যবস্থা চালু হলেও, তা খুব একটা বিকশিত হয়নি। এখনো জিডিপিতে বীমা খাতের অবদান ১ শতাংশের নিচে। তারপরও বাজেটে বরাবরই উপেক্ষিত থেকেছে এ খাত। এবারও বাজেটে নেই বরাদ্দ, কোন বিশেষ কর্মসূচি ও দিক নির্দেশনা। বীমা সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, গ্রাহকের লভ্যাংশ ও এজেন্টের কমিশনের উপর আরোপিত কর প্রত্যাহারসহ সব পরামর্শ ও দাবিই হয়েছে উপেক্ষিত।

বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানও বলছে, প্রাতিষ্ঠানিক ভিত পাওয়ার আগেই কর আরোপ করা হলে তা এ খাতের প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করবে। একই সঙ্গে বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর যৌক্তিক দাবি-দাওয়া সরকারকে বিবেচনায় নেয়ারও পরামর্শ তাদের।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে