প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী পাঠিয়ে কমিশন বাণিজ্য এখনও বন্ধ হয়নি বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালগুলোতে। এছাড়া দালালদের দৌরাত্ম্য ও যন্ত্রপাতির কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে হাসপাতালেরই একটি চক্র। এসব কারণে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ রোগী ও স্বজনদের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দাবি, অতিরিক্ত রোগীর চাপে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে, জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে বিশেষায়িত সেবা চালু করলে ভোগান্তি অনেকটাই কমবে। হৃদযন্ত্রে প্রচণ্ড সমস্যা নিয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি হয়েও এ কিশোরকে যেতে হচ্ছে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে। বেলা ১১টাতেই এক্সরে মেশিন নষ্ট হওয়ায় তার এ ভোগান্তি। এখানে আসা রোগীদের রয়েছে আরও অভিযোগ।
মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে আসা এ রোগী দালালদের কথামত অন্য হাসপাতালে না যাওয়ায় চিকিৎসা মেলেনি। সকাল আটটা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চেষ্টা করে পরিচালকের হস্তক্ষেপে চিকিৎসার অনুমতি মেলে তার। ৩শ’ বেডের নিউরো সাইন্স হাসপাতালে প্রতিদিন বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে প্রায় সাড়ে বারো’শ রোগী আসেন। ভর্তি হতে না পেরে ফেরত যান অনেকেই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, নিটোরসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সম্প্রসারিত করার কাজ চলছে। শুধু সরকারি হাসপাতালই নয় সেবার মানসিকতা নিয়ে বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার আহ্বান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।