হালের ফ্যাশন! ব্যাকরণ মেনে ফ্যাশন করে চলার দিন অনেকটাই শেষ হতে চলেছে। তাই বলে ফ্যাশন কিন্তু কমছে না। বরং ব্যাকরণের বাইরে এসে ফ্যাশনে নতুন নতুন ট্রেন্ড চালু হয়েছে, এবাবের ঈদের শপিংমল গুলো ঘুরে দেখা যায়, ফ্যাশন বহুরৈখিক। ডিজাইনারদের ফ্যাশন ফোরকাস্টিংয়ে, চক্রাকারে পরিবর্তনের রঙ-রাঙিয়ে নিয়ে আসে নতুন ট্রেন্ড।
তবে স্মার্টফোন, ইন্টারনেট, ভিনদেশি টিভি চ্যানেলগুলো আমাদের রুচি বদলে দিয়েছে। তাই তরুণ প্রজন্মের ঝোঁক এখন ইউরোপ-আমেরিকার ফ্যাশনের দিকে। তা ছাড়া আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত আর পাকিস্তানের আগ্রাসন তো আছেই। একারণে তারুণ্যের বেশখানিকটা অংশ উৎসবেও নিজেদের ঐতিহ্যবাহী কাপড়ের ব্যবহার থেকে সরে যাচ্ছে। এখন দেশীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোতে তাই ট্রেন্ডিশনাল ছাড়াও পাশ্চাত্য পোশাকের চাহিদা সারাবছর জুড়েই। ফ্যাশন জ্ঞানসমৃদ্ধ আধুনিক তরুণ তরুণী তাই ঈদ পোশাকে বেছে নিচ্ছে সাছচ্ছন্দ্যময় ডিজাইন আউটফিট।
ঈদ বা উৎসব পার্বনে ফ্যাশন- ট্রেন্ড নিয়ে কথা বেশি হয়। আদতে, ফ্যাশন থেকে সৃষ্টি হয় ট্রেন্ড। তবে একে অন্যের সম্পূরক। ফ্যাশন ট্রেন্ড বলতে এখন রঙ, শিলুয়েট, কাপড়, প্রিন্ট- এই বিষয়গুলো কীভাবে মানুষের আগ্রহ তৈরি করছে তাই আলোচ্য। এবার উৎসব প্রসঙ্গ। ঈদ মানেই নতুনত্ব। যা উঠে আসে ডিজাইনারদের সূচিকর্ম আর ফ্যাশন ফোরকাস্টিংয়ে। আর এভাবেই পূর্ণতা পাচ্ছে দেশীয় ব্র্যান্ডশপগুলোর পোশাকী আয়োজন। ফ্যাশন জ্ঞানসমৃদ্ধ আধুনিক তরুণ তরুণী তাই ঈদ পোশাকে বেছে নিচ্ছে স¦াচ্ছন্দ্যময় ডিজাইন আউটফিট। গতানুগতিক গ্রাফিক্স আর্ট-এর পাশাপাশি বর্নিল রঙ, গ্রীষ্মের ফুল ও পাতা প্রিন্ট, গ্রাফিক আর্টস, অ্যাজটেক প্রিন্ট চলতি ফ্যাশন ট্রেন্ড।
ফ্যাশন ঋতুতে সময় এখন গ্রীষ্মকালীন ডিজাইনের। তাই ছেঁড়া-ফাঁড়া পোশাক আর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ কয়েক গন্ডিতে এখনও চলমান। তাই ঈদ পোশাকে তারুণ্যের চেক লিস্টই থাকবে শীর্ষে। ওয়েস্টার্ন পোশাক দেশীয় ধাঁচে তৈরি করেছে এবার অনেক ফ্যাশন ব্র্যান্ড। বডি ও বটম। এই ঈদে ড্রেসের বডিতে ভিন্নতা তেমন পরিলক্ষিত না হলেও বটম কাটিংয়ের নতুনত্ব চোখে পড়ে। বডি বডিতে ফিটিং প্যাটার্নই বছরজুড়ে অধিকাংশ ডিজাইনে দেখা যায়। ডিজাইনে এই কাটিং অনেকটা ক্ল্যাসিক জায়গা ধরে রেখেছে। একই রকম দেখা যায় এবারের ঈদ ডিজাইনের কামিজগুলোয়। তবে ফ্যাশনে সময়টা যেহেতু গ্রীষ্মকাল, সেহেতু বডি কাটিংয়ে দুই-চারটা নতুনত্ব তো চোখে পড়েই। তাও পূর্ব ফ্যাশনের বাইরে নয়।
তবে অনেক ক্রেতাই এসব পোশাক দেখে হতভম্ব হয়েছেন, ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা মনে করেন টাকা দিয়ে এমন কুরুচিপূর্ণ পোশাক কেনার কোন মানে হয় নাহ। নামী-দামী শপিং মল গুলোতে ঘুরে দেখা যাই এমন দৃশ।
ফয়সাল আহমেদ বলেন, আমি তো প্রথমে মনে করেছিলাম দোকানে বোধয় ভুল করে এসব পোশাক তুলেছে, পরে ভাবলাম দোকানের মালিকের ছেলে মেয়ে বোধয় গাড়ি এক্সিডেন্টে কিছু হয়েছে তাদের স্মৃতিতে এই জামাকাপড়….পরে অভয় নিয়ে জমায় হাত বুলাই । পরে দেখি টি শার্টের দাম ৩৫০০ টাকা ও ছেড়া জিন্সের দাম ৫৬০০ টাকা। জিগ্গেস করলাম, এগুলো কি ১৯৭১ সালের যুদ্ধের জামা কাপড়? যদি এমনি হয় তাহলে এগুলো তো মিউজিয়ামে রাখবেন, এগুলো সরকারের সম্পত্তি 🙂 দোকানদার বললেন, ভাই যত ছিড়া ফাটা তত ফ্যাশন, তত বেশি দাম।আমরা কথা বলেছিলাম আরেকজন ক্রেতা সামির রহমানের সাথে, তিনি তো রীতিমত কবিতা শুনিয়ে দিলেন, ‘আমি কহিলাম, বাহ কি সুন্দর আমাদের দেশের মানুষের মন, এই ঈদে কে ফকির আর কে ধনি আর বোঝা যাবেনা রে বাছা ধন’।