দক্ষিণ এশিয়ার মৌসুমী আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানতে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছেন৷ বঙ্গোপসাগরে সাতটি রোবোট ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন তারা। যার মাধ্যমে জানা যাবে কীভাবে সাগরের পরিস্থিতি বৃষ্টির ধরণে প্রভাব ফেলছে৷

সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে৷ বছরের ৭০ ভাগ বৃষ্টিপাতই হয় এই সময়টাতে৷ গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশ ও ভারতের কোটি কৃষক অপেক্ষায় থাকে কখন হবে বৃষ্টিপাত আর কখন জমির ফসল পানি পাবে৷ কেননা বৃষ্টির অভাবে দেখা দিতে পারে খরা, নষ্ট হতে পারে ক্ষেতের ফসল, বৃষ্টিপাত কখন হবে গত কয়েক বছরে এর পূর্বাভাস দেয়া বেশ কঠিন হয়ে উঠেছে এ সব অঞ্চলে৷ কেননা বৈশ্বিক আবহাওয়া এবং সাগরের আচরণ জটিল হয়ে ওঠায় এ ব্যাপারে পূর্বানুমান বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সঠিক হচ্ছে না৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর প্রধান কারণ জলবায়ু পরিবর্তন এবং বায়ুদূষণ বৃদ্ধি৷

ইস্ট অ্যাঙ্গোলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং প্রধান গবেষক আদ্রিয়ান ম্যাথুস বলেছেন, সাগরের আচরণ সঠিকভাবে বোঝার লক্ষ্যেই তারা এ প্রকল্প নিয়েছেন৷ তবে এর প্রধান লক্ষ্য ভারতীয় উপমহাদেশে বৃষ্টির সঠিক পূর্বাভাস দেয়া৷ এই প্রকল্পে খরচ হচ্ছে এক কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার৷ বিজ্ঞানীরা আগামী একমাস ধরে বঙ্গোপসাগরে এ পরীক্ষা চালাবেন৷ সে লক্ষ্যে সাতটি রোবট সমুদ্রে ছাড়বেন তারা৷
maxresdefault
যে রোবটগুলো সমুদ্রগর্ভে যেতে সক্ষম৷ টর্পেডো আকৃতির রোবোটগুলোতে পানির মধ্যে পরিচালনা করা হবে জাহাজ থেকে৷ তারা সমুদ্রের পানির লবণাক্ততা, তাপমাত্রা আর স্রোতের সঠিক পরিমাপ জানাবে৷ ভারত সরকারের সহায়তায় ইউনিভার্সিটি অফ রিডিং এর বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে এই পরীক্ষা চালাচ্ছে৷

রোবটগুলো থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বর্ষায় সাগরের পরিস্থিতি ভালো বুঝতে পারবেন বলে আশা করছেন৷ এ বছর ভারতীয় উপমহাদেশে বর্ষা এসেছেন ৮ জুন। সাধারণত এর এক সপ্তাহ আগেই বৃষ্টি শুরু হওয়ার কথা৷ ভারতের মধ্য, পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলে এবার ব্যাপক খরা হওয়ায় ভারত সরকার এ গবেষণার ব্যাপারে ব্যাপক আগ্রহী৷

সুত্রঃ এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স
ন্যাশনাল ডেস্ক, বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে