টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বাবার দেশ সখ করে দেখতে এসে সেই পাকিস্তানী কিশোরী ধর্ষণের মূলহোতা আল আমীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।টাঙ্গাইল র্যাব-১২ সিপিসি-৩ মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলার রাজীবপুর উপজেলার পঞ্চনগর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাব। তবে এখনও পাকিস্তানী কিশোরী ধর্ষণের সেই মূলহোতা আল আমীনকে থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়নি।মামলা সূত্রে জানা যায়, মায়ের সঙ্গে বাবার জন্মভূমি বাংলাদেশে বেড়াতে এসে গত ১৬ এপ্রিল চাচার বাড়ি থেকে অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার হন হুমেরা বাবু (১৭) পাকিস্তানী ওই কিশোরী। সে করাচীর সরকারি এক স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। পিতার নাম হুমায়ুন কবীর, মাতার নাম নীলুফার বেগম। ঠিকানা সুপার হাইওয়েজ রোড, নিউ করাচী, পাকিস্তান।
গোপালপুর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ুন কবীর আনুমানিক পঁচিশ বছর আগে পাকিস্তানের নিউ করাচীতে গিয়ে থিতু হন। সেখানে পাকিস্তানি নাগরিক নীলুফার বেগমকে সাদী করে গামের্ন্টস ব্যবসা শুরু করেন। পাঁচ মাস আগে পাকিস্তানী নাগরিক নীলুফার বেগম ছয় মাসের ভিসায় কন্যা হুমেরাকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর বাড়ি বেড়াতে আসেন। ওঠেন উত্তর গোপালপুর গ্রামের ভাসুর আব্দুল ওয়াদুদের বাড়িতে। সেখানে ওঠার পর থেকেই আরেক ভাসুর আবুল হোসেনের পুত্র আল আমিন কিশোরী হুমেরাকে উত্যক্ত করতে থাকে। বেশ কবার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ ঘটনায় পারিবারিকভাবে বিষয়টি ফয়সালার চেষ্টা হয়।
এদিকে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মা-মেয়ের পাকিস্তানে ফেরত যাবার খবর শুনে বখাটে আল আমীন ক্ষুব্ধ হয়ে গত ১৬ এপ্রিল রাতে একদল সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় হুমেরাকে কাকার বাড়ি থেকে কৌশলে অপহরণ করে। পরে তাকে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে।এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা নীলুফার বেগম বাদী হয়ে গত ১৭ এপ্রিল আল আমিনসহ পাঁচজনকে আসামি করে গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।পরে গোপালপুর থানা পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গত বৃহস্পতিবার ভোর রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মহিষাকান্দি মোড়ের এক বাসা থেকে বন্দীবস্থায় ধর্ষিতা হুমেরাকে উদ্ধার করেন।
ধর্ষিতার মাতা নীলুফার বেগম জানান, হুমেরা নিউ করাচীর সরকারি সাদিকাটুল হাইস্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে। তিনি ও তার মেয়ে বাংলা ঠিকমতো বলতে পারেন না। বাবার দেশ সখ করে দেখতে এসে নিজের পরিজনের হাতেই সর্বনাশের শিকার হলো তার কিশোরী কন্যা। নির্যাতনে হুমায়রা মুষড়ে পড়েছেন বলে জানান তিনি। তিনি এর কঠিন শাস্তি দাবি করেন।
কে এম মিঠু,
টাঙ্গাইল নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ