শেষ হলো প্রথমবারের মতো চালানো রোহিঙ্গা শুমারী। কক্সবাজারসহ দেশের ছয় জেলায় এই শুমারী চালানো হয়। তবে কর্মসূচি শেষ হলেও বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের প্রকৃত সংখ্যা জানতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা সচিব। জানিয়েছেন, শুমারীর তথ্যের ওপর ভিত্তি করে রোহিঙ্গাদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নতুন কিছু উদ্যোগ নেয়া হবে। তিনদশকেরও বেশি সময় ধরে বিপুল রোহিঙ্গা শরণার্থীর ভার বহন করছে বাংলাদেশ।

যার বড় অংশই রয়েছে কক্সবাজারসহ আশেপাশের জেলাগুলোতে। সরকারি খাতায় মাত্র ৩০ হাজার রোহিঙ্গার অবস্থানের তথ্য থাকলেও সংশ্লিষ্টদের ধারণা, এ সংখ্যা ৫ লাখের মতো। তাই, এই সংশয় দূর করতেই গেল ২ জুন থেকে দেশের ছয় জেলায় চালানো হয় শুমারী। ১২ দিনের এই কার্যক্রম শেষ হয়েছে মঙ্গলবার। তাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা ছয় ধরনের তথ্য। যা দিয়ে তৈরি করা হবে একটি তথ্যভান্ডার।

তবে শুমারী শেষ হলেও রোহিঙ্গাদের প্রকৃত সংখ্যা জানতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানান পরিকল্পনা সচিব। শুমারীর তথ্যের ভিত্তিতে মিয়ানমার থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নানা উদ্যোগের কথাও বলেন তিনি। শুমারীতে অন্তর্ভুক্ত রোহিঙ্গাদের ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র দেয়া হবে। যা দিয়ে তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা সুবিধা পাওয়ার সুযোগ থাকবে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে