জলাবদ্ধতা নিরসনে যেন নিয়মিত ভুল পথেই হাটছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন। প্রতিবছর খাল-নালা পরিস্কার ও কিছু রুটিন মাফিক কাজ হলেও সমস্যা সমাধানে দীর্ঘমেয়াদী ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেই বললেই চলে। তাইতো ভোগান্তিও পিছু ছাড়ে না নগরবাসীর।

যদিও ভারপ্রাপ্ত মেয়র বলছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে অবৈধ দখল উচ্ছেদসহ নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বর্ষায় খুলনা মহানগরীর বেশিরভাগ এলাকা জলাবদ্ধতার এই চিত্র প্রতিবছরের। নগরবাসী যা মেনে নিয়েছেন অনেকটা নিয়তি হিসেবেই। কিন্তু দু:সহ এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলবে কবে? এই প্রশ্নের যেন জবাব নেই কারো কাছে। নগরবাসীর অভিযোগ, নিয়মিত ড্রেন পরিস্কার না করায়, বৃষ্টির পানি সরছে না।

তাই কমছে না ভোগান্তিও। জলাবদ্ধতা নিরসনে ৩৩৫ কোটি টাকার ব্যয়ে একটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৩ সালের মে মাসে। এরই মধ্যে ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেজিং করা হয়েছে নদী ও খাল। পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে সাত কিলোমিটার ড্রেন। তবে পানি নিষ্কাশনের ২২টি খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ হয়নি এখনো।

তাই ফলাফল শূণ্য। ভারপ্রাপ্ত সিটি মেয়র বলছেন, পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে জলজটের ভোগান্তি কমাতে সরকারের পক্ষ থেকেও বিশেষ বরাদ্দের তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে