ভূমি ব্যবস্থাপনা আধুনিক না করায় জমির মালিকানা নিয়ে সামাজিক বৈষম্য বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য- শতকরা ২০ ভাগ লোকের কাছে দেশের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ জমির স্বত্ব থাকায় সুফল বঞ্চিত হচ্ছেন প্রান্তিক কৃষক। পাশাপাশি- বসতবাড়ি তৈরি, শিল্পায়ন, অধিগ্রহণ ও প্রতারণার কারণে বেহাত হচ্ছে অনেক জমি। ভূমি মন্ত্রণালয়ের আশ্বাস- সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়ার মাধ্যমে বৈষম্য এবং জমির অপব্যবহার অনেকটাই কমবে।
পরিসংখ্যানে মাথাপিছু দেড় একর আবাদি জমির হিসেব থাকলেও মানিকগঞ্জের কাঙ্গাল মিয়ার রয়েছে কেবল ২ শতক বসত ভিটা। পৈতৃক সম্পত্তি হারিয়ে ৮২ বছর বয়সেও অন্যের জমিতে দিনমজুরি করে সংসার চালান তিনি।
গ্রামীণ জনপদে এমন ভূমিহীনের সংখ্যা কমপক্ষে ৬০ শতাংশ। কৃষকদের মধ্যেও শতকরা ২৩ ভাগেরও বেশি বর্গা চাষি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন- খাসজমি ও অর্পিত সম্পত্তির বেশিরভাগই সরকারের নিয়ন্ত্রণে না থাকায় বঞ্চিতরা অধিকার পাচ্ছেন না। অনিয়ম আর প্রতারণার দৌরাত্ম্যও রয়েছে ভূমি অফিসে। এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, ‘তফসিল অফিসে গেলে দেখা যাবে কত ধরনের অনিয়ম হচ্ছে। খাস জমি, অর্পিত জমি নিয়ে নানা অনিয়ম হচ্ছে। অনুপস্থিত মালিক অর্থাৎ আমরা যারা শহরে বসবাস করি তাদের কাছ থেকে জমিগুলো কৃষকদের কাছে যেতে হবে। তার জন্য সরকারকে কিছু আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আইনের পরিবর্তন করতে হবে।’
ভূমি মন্ত্রণালয়ের দাবি, গত অর্থবছরে ছয় হাজার ৭শ’ পরিবারের মধ্যে ৭ হাজার একরেরও বেশি খাস জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরিফ বলেন, ‘আমরা ভূমিহীনদের গুচ্ছ গ্রাম করে দিচ্ছি। শুধু বাড়িই না সাথে সাথে জমিও দিচ্ছি।’
সারাদেশে ৩ কোটি ৬৬ লাখ ৫৭ হাজার একর জমির মধ্যে কৃষি জমির পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে।