রাজধানীর ৯৫ ভাগ ভবন নির্মাতাই তাদের নির্মাণ সামগ্রী রাখেন সড়ক কিংবা ফুটপাতের উপর। এতে মানুষের স্বাভাবিক চলাচল যেমন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি ঘটছে দুর্ঘটনা। বেসরকারি একটি সংস্থার জরিপে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
বিশ্লেষকদের মতে, সরকারি সংস্থাগুলোর দায়িত্বে অবহেলা, স্বচ্ছতা আর সদিচ্ছার অভাবেই এ ধরণের চিত্র অপরিবর্তিতই থেকে যাচ্ছে। বিষয়টি স্বীকার করে রাজউক বলছে, নজরদারি বাড়াবেন তারা। ফুটপাত দখল করে সড়কের প্রায় অর্ধেকে নির্মাণ সামগ্রী রেখে নগরবাসীর চলাচলের পথ দখল করে রেখেছে ভবন নির্মাতারা। এতে যেমন ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক চলাচল তেমনি বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। নির্মাণ সামগ্রী রাখতে হবে ভবন মালিকের নিজস্ব জায়গায়, ভবন নির্মাণ বিধিমালা তথা বিল্ডিং কোড ২০০৮ এ এরকম স্পষ্ট বলা থাকলেও তোয়াক্কা নেই কারও। আর এই আইন ভঙ্গ করা হচ্ছে দিনে দুপুরে এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনেই।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা আর জবাবদিহিতার অভাবেই বছরের পর বছর এ অবস্থার কোন উন্নতি হচ্ছে না। নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশের অনেক সদস্য অনেক সময় এর সঙ্গে সহায়তা করে। এ বিষয়গুলোতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো তদারকি থাকতে হবে।’ এ বিষয়ে আইন থাকলেও বাস্তবায়ন কেন নেই এমন প্রশ্নের জবাবে রাজউক চেয়ারম্যান জি এম জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া আশ্বাস দিলেন নজরদারি বাড়ানোর।
বিশ্লেষকদের মতে, হকার আর ভবন নির্মাতাদের দখলের কারণে শহরের প্রায় ৯০ ভাগ ফুটপাতই এখন চলাচল অনুপযোগী।