প্রসেনজিত কুমার/নাটোর।। ১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ভালোবাসা দিবসের মানে কি শুধুই প্রেমিক প্রেমিকার প্রতি কিংবা প্রেমিকা প্রেমিকের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের দিন? অবশ্যই না। একটু অন্যভাবে দেখলে ভালোবাসা দিবস মানে সকলের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের দিন কিন্তু কালের স্রোতে সে অর্থ বদলে শুধু প্রেমিক প্রেমিকার ভালোবাসার বিশেষ বহিঃ প্রকাশের দিন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
আমরা কি পারি না সেই দৃষ্টি ভঙ্গিটা বদলাতে? ভালোবাসা দিবসের শুরুতেই হাজার হাজার টাকার ফুল বিক্রি হয়। আর দিনের শেষে সেই ফুলই আবার পদপৃষ্ঠ হয় মানুষের। ওই টাকাটা কিছু দুস্থ অসহায়, ছিন্নমূল শিশুকে এক বেলা পেট ভরে খাওয়ালে সুবিধা কোথায়? তেমনি এমন কিছু অদম্য প্রতিভার কয়েকজন শিক্ষার্থী বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে অসহায়, দুস্থ, ছিন্নমূল মানুষের মাঝে খাবার সামগ্রী বিতরণ করে।
ভালোবাসা হলো সৃষ্টিকর্তার প্রতি অনুভূতি, আত্মার তৃপ্তি ও মনের প্রশান্তি। আল্লাহতায়ালা আমাদের মাঝে অশেষ ভালোবাসা দান করেছেন, যা কোনো বিশেষ দিন বা দিবসের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। প্রতিটি ভালোবাসা হতে হবে সৃষ্টিকর্তার প্রতি সান্নিধ্য লাভের জন্য।
ভালোবাসা অবশ্যই একদিনের জন্যে নয়, তা সারা জীবনের। আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস এমন দিনে কয়েকজন শিক্ষাথী স্টেশন চত্বরে এমন অসহায় মানুষদের সাথে ভালোবাসা দিবস ভাগাভাগি করে নিতে এসেছে। এমন অদম্য উদ্যোগী শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাওয়া হয় এমন বিশেষ দিনে তাদের এমন উদ্যোগ কেনো? শিক্ষার্থীগনের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী ” শিশির আহমেদ পলক ” তিনি বলেন আমার কাছে সবচেয়ে আপন প্রথমে আমার পরিবার তারপর সমাজের অসহায় দুস্থ, সুবিধা বঞ্চিত শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা।
প্রতিদিনের মতো এমন বিশেষ দিনে ভালোবেসে তাদের কেউ খোঁজ-খবর নেয়া তো দূরের কথা তাদের নামটি ধরে কেউ ডাকে না। কি হয় যদি এক ভালবাসা দিবসে একজন অসহায় শিশুর মুখে একটু খাবার তুলে দিলে? তার একটু খানি হাসিতে ভালোবাসা খুঁজে নিতে? তাই কিছুটা হলেও তাদের দুঃখ ভুলানোর জন্য আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
প্রসেনজিত কুমার,
নাটোর নিউজ ডেস্ক।।বিডি টাইম্স নিউজ