প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমাদের দরজা আপনাদের জন্য খোলা। আমি চাই আমাদের জাপানি বন্ধুরা বাংলাদেশে আসবেন, তরুণ কর্মীবাহিনী এবং অন্যান্য সুযোগসুবিধাগুলো কাজে লাগাবেন।”

জাপানকে বাংলাদেশের ‘পরীক্ষিত বন্ধু’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন সরকারি-বেসরকারি দুটি সংলাপের মাধ্যমে দুদেশের বোঝাপড়া আরও দৃঢ় হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রশাসনিক কাঠামো আরও সহজতর করা হবে। এছাড়া, বিনিয়োগকারীদের চাহিদা অনুযায়ী প্রণোদনা, জ্বালানি সরবরাহসহ অন্যান্য সুবিধা দেয়া এবং কিছু ক্ষেত্রে কর কাঠামো শিথিল করার কথাও জানান তিনি।

বাংলাদেশ ও জাপানের তরুণ জনগোষ্ঠীর দক্ষতা, সৃজনশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দু’দেশের উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা, কৌশলগত অবস্থান এবং শিল্পায়ন পরিকল্পনার মধ্যেও সামঞ্জস্য রয়েছে। এ ব্যাপারে জাপানি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। বাংলাদেশ সরকার একশোটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও আইটি পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, এর মধ্যে ৩৩টির কাজ এগিয়ে চলছে। আগামী চার বছরে শিল্পউৎপাদন খাতে কমপক্ষে এক কোটি মানুষ যুক্ত হবেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, সরকার লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, জুট, মৎস্য আহরণ, টেক্সটাইল ম্যানুফ্যাকচারিং খাত নিয়েও কাজ করছে। একই সঙ্গে তৈরি পোশাক কারখানাগুলোকে ‘সবুজ’ হতে উৎসাহ জোগাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ-জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তন, সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ বণ্টন প্রভৃতি ক্ষেত্রে প্রয়োজন মেটানোর জন্য জাপান এগিয়ে আসতে পারে। জাপানি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে বলেন, তাঁরা হয়তো সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি নাগরিক ও বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা, নিরাপত্তা নিয়ে ভাবছেন। তিনি তাঁদের নিশ্চিত করছেন, যেকোনো ধরনের সন্ত্রাস ও উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার জিরো টলারেন্স দেখাচ্ছে।

বাংলাদেশে শিল্প উৎপাদন খাতে নতুন সম্ভাবনা এবং বিপুল জনশক্তির কথা জাপানি ব্যবসায়ীদের সামনে তুলে ধরে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিক ও বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের নিরাপত্তা দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। জাপানকে বাংলাদেশের ‘পরীক্ষিত বন্ধু’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন সরকারি-বেসরকারি দুটি সংলাপের মাধ্যমে দুদেশের বোঝাপড়া আরও দৃঢ় হয়েছে। বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ও জাপানী ব্যববসায়ীদের মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে