ইন্টারনেট সুবিধা বঞ্চিত একক জনগোষ্ঠির দেশ হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম।এখানকার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯৩ শতাংশই ইন্টারনেট ব্যবহারের বাইরে। সোমবার রাজধানীতে এক সেমিনারে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক।

এ সময় সংস্থার আবাসিক পরিচালক কিমিয়াও ফান জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে, অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক। আর আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে সরকার। প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে, তবে প্রবৃদ্ধি টেকসই উন্নয়নের জন্য যথাযথ নয়। বাড়ছে না কাংখিত কর্মসংস্থান ও সেবার পরিধি।

এমনসব তথ্য উঠে এসেছে বিশ্বব্যাংকের ওয়ার্ল্ড ডেভলপমেন্ট রিপোর্ট ২০১৬: ডিজিটাল ডিভিডেন্ডস শীর্ষক এক প্রতিবেদনে। এখানে বলা হয়, ইন্টারনেটে অনলাইন থেকে অফলাইনের সংখ্যাই বেশি। এ জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বেশি হওয়াকেই দায়ী করছে বিশ্বব্যাংক।

প্রতিবেদন অনুযায়ী ইন্টারনেট সুবিধা বঞ্চিত একক জনগোষ্ঠির দেশ হিসাবে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে পঞ্চম, যেখানে প্রকৃত ব্যবহারকারীর সংখ্যা দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র সাড়ে সাত শতাংশ। আইসিটি খাতে অবকাঠামোগত দূর্বলতা ও প্রযুক্তিগত বৈষম্যের বিষয়টিও উঠে আসে প্রতিবেদনে।

যদিও মুঠোফোনে কথা বলার খরচে বিশ্বের অন্যতম সর্বনিম্ন এবং, তথ্য-প্রযুক্তিখাতে লোকবল সরবরাহের সবোর্চ্চ সম্ভাবনা প্রুতিবেদনে উল্খ আছে এমন দুটি ইতিবাচক দিকও। এমন অবস্থায় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সহায়তার আশ্বাস বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে, আগামী পাঁচ বছরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে হাইটেক পার্ক নির্মান, পাবলিক রিলেশন পার্টনারশিপ, আইটি পলিসিসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অর্থায়নের ঘাটতি না থাকলেও ব্যবস্থাপনা ও দূর্নীতি কমানোর পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে