সম্প্রতি কবি শ্রীজাত’র উপর হামলার ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে কলকাতা। অসমে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের হাতে আক্রান্ত হন কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন শহরের বুদ্ধজীবীরা।
আর শ্রীজাত’র এই ঘটনার পর থেকেই একপক্ষ তুলে আনছে তসলিমার প্রসঙ্গ। এবার মুখ খুললেন লেখিকা নিজেই। দিন দুয়েক আগেই অসমের শিলচরে একটি কবিতা সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের হাতে আক্রান্ত হন কবি শ্রীজাত। কবির আক্রান্ত হওয়ার খরব পেয়ে তাঁকে ফোন করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পর থেকেই নিন্দায় সরব হন বিশিষ্টজনেরা। শ্রীজাতর পাশে দাঁড়িয়ে শিলচরের ওই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কর্মকাণ্ডকে ধিক্কার জানান শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, জয় গোস্বামী, কৌশিক সেন, তিলোত্তমা মজুমদার প্রমুখ।
তবে তসলিমার বই নিষিদ্ধ হওয়ার কেন এই কলকাতায় প্রতিবাদ হয়নি, সেই প্রশ্নই নতুন করে উস্কে দিলেন তসলিমা নাসরিন। তসলিমা ফেসবুক পেজে লিখেছেন, “আমার ওপর আক্রমণ হলে, বই নিষিদ্ধ হলেও প্রগতিশীল শহরে প্রতিবাদ হয় না।” আক্ষেপ করে তিনি লিখেছেন, “কলকাতার হাতে গোনা কিছু মানুষ ছাড়া অশিক্ষিত শিক্ষিত, মূর্খ বুদ্ধিমান, অলেখক লেখক, মুসলমান হিন্দু , আস্তিক নাস্তিক বিশ্বাস করে,আমি অনাগরিক, সুতরাং আমার অত বাক স্বাধীনতা থাকার দরকার নেই।”
শ্রীজাত’র বাক স্বাধীনতা নিয়ে যখন বারবার কথা হচ্ছে তখন তসলিমা মনে করেন, শ্রীজাত তাঁর বাক স্বাধীনতা কোনোদিন চাননি। তিনি এও শুনেছেন যে শ্রীজাত কোথাও বলেছে, কলকাতায় তাঁর না আসাই উচিত। গত নভেম্বরে একটি অনুষ্ঠানে তসলিমাকে কলকাতায় আমন্ত্রণ জানানো হলেও শেষের দিকে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে কলকাতায় তাঁকে আনা সম্ভব নয়।
তিনি আরও লিখেছেন, “শত নাস্তিক হলেও আমি ওদের চোখে মুসলমান। খাতায় রিফুইজি নয়, রেসিডেন্ট স্টেটাস থাকলেও আমি ওদের চোখে রিফিউজি। সুইডেনের নাগরিক হলেও আমি ওদের চোখে বাংলাদেশি।”
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ