নিরাপত্তা চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশের থাকা বিভিন্ন রাষ্ট্রের দূতাবাসগুলো। বিষয়টি স্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বললেন, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করেন, দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি যে কারণে চিঠি দিয়ে নিরাপত্তা চাইতে হবে।
বিদেশী হত্যাসহ সাম্প্রতিক সময়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কূটনৈতিক এলাকায় নিরাপত্তা চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি পাঠায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা। পাশাপাশি নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা চেয়ে সরকারের কাছে চিঠি দেয় বিদেশি রাষ্ট্রগুলো। সর্বশেষ ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাথে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি প্রকাশ পেলে আবারো কূটনৈতিক এলাকা ও দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে নড়েচড়ে বসে দূতাবাসগুলো।
সোমবার সচিবালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিফেন বার্নিকাটের সঙ্গে আলোচনা শেষে, দূতাবাসগুলো আগে থেকেই শঙ্কা ও নিরাপত্তা চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় তিনি বলেন, ‘তারা চিঠিপত্র দিয়ে তাদের আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করেছিলেন। আমরা দূতাবাস এলাকায় টহল পুলিশ বাড়িয়েছি। এছাড়া মোটরসাইকেল ও গাড়ির মাধ্যমে পেট্রোলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
অন্যদিকে নিরাপত্তা বিষয়টির ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বা দূতাবাসের ঝুঁকির পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রি. জে. (অব.) আবদুর রশীদ।
একই সাথে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ঘরোয়া রাজনীতির সমস্যা সমাধানে বারবার বিদেশী রাষ্ট্রের শরণাপন্ন না হওয়ারও পরামর্শ তার।