সীমান্তে কোন হত্যাকাণ্ড হলে, বিএসএফ ও বিজিবি যৌথভাবে তদন্ত করবে বলে জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।
সোমবার সকালে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক শেষে যৌথ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। এসময় বিজিবি মহাপরিচালক আরো বলেন, সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি প্রধান বলেন, এখন থেকে সীমান্তে হত্যাকাণ্ডসহ যেকোনো ধরনের ঘটনায় তদন্ত প্রয়োজন হলে যৌথভাবে হবে। আগে একপক্ষ এক ধরনের বক্তব্য দিতো। আরেকপক্ষ আরেক রকম বক্তব্য দিতো। বিজিবি ও বিএসএফ এর বক্তব্যে বৈপরীত্য ছিল। কিন্তু এখন থেকে আর সে রকম কিছু হবে না। যৌথভাবে তদন্ত শেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বিজিবি প্রধান আরও বলেন, যে কোনো ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতের সাংবাদিকরাও থাকবেন। তারা তাদের পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করবেন। সঠিক বিষয়টি তুলে ধরবেন।
চুয়াডাঙ্গায় সজল নামে বাংলাদেশী কিশোর বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় বিজিবি প্রধান বলেন, আমরা সব সময়ই সীমান্ত হত্যাকে জিরোতে নামিয়ে আনার নীতিতে সচেষ্ট। এ ধরণের ঘটনা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। আশা করছি এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না।
সীমান্তে কেউ ধরা পড়লে গুলি না করে আটক করাই নিয়ম কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে বিএসএফ গুলি করে এক্ষেত্রে নতুন কোন সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বিএসএফ মহাপরিচালক কেএক শর্মা বলেন, ‘আমরা ক্যাটল স্মাগলার, ড্রাগ স্মাগলারসহ অনেককেই ধরি। গত ৫ মাসে সীমান্তে ৪৭ জনকে আটক করা হয়েছে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিলেই কেবল গুলির বিষয়টি আসে। এ ব্যতীত বিএসএফ গুলি করে না। এ বিষয়টি কিভাবে আরও শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা যায় তার বিকল্প চিন্তা চলছে।’
ফেলানি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসএফ প্রধান বলেন, বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন। সে কারণে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
চুয়াডাঙ্গায় সজল নামে বাংলাদেশী কিশোর বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় বিএসএফ প্রধান কে কে শর্মা বলেন, ওই ঘটনায় একজন অফিসারসহ মোট ৭ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনায় যৌথ তদন্ত হবে।