সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে খুলনা ও ফরিদপুর অঞ্চলে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট। এতে জেলাগুলোতে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। ব্যুরো প্রতিবেদক ও জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন-
যশোর: ধর্মঘটের কারণে আজও যশোর থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার কোনও যানবাহন ছেড়ে যায়নি। বন্ধ রয়েছে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলও। এছাড়া, সড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচলে বাধা দিচ্ছেন শ্রমিকরা।
খুলনা: এদিকে খুলনা থেকে রাজধানী ঢাকাসহ ১৮টি রুটে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকেই বাস স্ট্যান্ডগুলোতে ভিড় করতে থাকেন যাত্রীরা। কিন্তু কোনও ধরনের যান চলাচল না করায় বিপাকে পড়েন তারা। দূরপাল্লার কোনও যানবাহন না পেয়ে অনেকেই অটো বা মোটরসাইকেলে রওনা দেন।
চুয়াডাঙ্গা: তিন দফা দাবিতে চুয়াডাঙ্গাতেও চলছে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দেন সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা।
বাগেরহাট: বাগেরহাট থেকে দূরপাল্লার পরিবহনসহ অভ্যন্তরীণ ১৬টি রুটে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না যাত্রীরা।
ঝিনাইদহ: ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। অনেকেই পায়ে হেটে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। আবার অনেকে বাসস্ট্যান্ডে গিয়েও ফিরে যান।
সড়ক দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারসহ ৩ দফা দাবিতে রোববার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয় ধর্মঘট।