আজ ১৬ মে। ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। গঙ্গার ওপর এ বাঁধ কেবল বাংলাদেশ নয়, অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতেরই অনেক জায়গায়। পানি না পেয়ে বছরে ১৩ হাজার কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ চেয়ে দিল্লির পরিবেশ আদালতে মামলা ঠুকেছেন সেখানকার মানুষ।
ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে, বছরে তিন হাজার কোটি রুপি। চলছে যার শুনানি। অথচ এ বাঁধের কারণে ভয়াবহ বিপদের মুখে থেকেও নিশ্চুপ বাংলাদেশ। গঙ্গা নদীতে ফারাক্কা ব্যারেজ চালুর প্রতিবাদে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে লংমার্চ হয়েছিল ১৯৭৬ সালের ১৬ মে।
এরপর পেরিয়ে গেছে চার দশক। নিয়মিত গঙ্গার পানি প্রত্যাহার করে চলেছে ভারত। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে লবণাক্ততার মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে। ৯৬ এর গঙ্গা চুক্তির পর কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও চাহিদা মেটেনি।
এ বছর শুষ্ক মৌসুমে ফারাক্কায় রেকর্ড সর্বনিম্ন পানি পেয়েছে বাংলাদেশ। গঙ্গার পানির অভাবে শুধু বাংলাদেশের ক্ষতি হচ্ছে তা নয়। ভয়াবহ ক্ষতির অভিযোগ তুলেছেন খোদ ভারতের মানুষও। আর এ নিয়ে রিট পিটিশন হয়েছে সেদেশের পরিবেশ আদালত, ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে। ২০১৪ সালের শেষের দিকে ৯ জন ভারতীয় নাগরিকের জনস্বার্থে করা এই রিট পিটিশনে মোট ৮টি প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রতিবছর ১৩ হাজার ১০১ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে এডব্লিউএআই এর কাছে ৩৭৮ কোটি। কেপিটি’র কাছে ২১৬ কোটি। সেচ বিভাগের কাছে ৪ হাজার ৯৫৭ কোটি। ৩ হাজার ২২৬ কোটি রুপি ফারাক্কা ব্যারেজ প্রকল্পের কাছে। টিএইচডিসি’র কাছে ১ হাজার ৮৬৭ কোটি। ইউজেভিএনএল’র কাছে ৭১৯.৪ কোটি রুপি প্রতিবছর। জেভিপিএল’র কাছে ৩৫৬.২ কোটি। এএইচপিসিএল’র কাছে ১ হাজার ৩৮১ কোটি
গঙ্গা নদীতে বিভিন্ন বাধ ও প্রকল্পে পানি প্রত্যাহারের কারণে নদী অববাহিকার জীববৈচিত্র্য, কৃষি ও আর্থসামাজিক বহুমুখি ক্ষতির জন্য এই জরিমানা দবি করা হয়েছে।