বাংলাদেশ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করার পর থেকে যেসব দেশ এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তুরস্ক তার অন্যতম। বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবার পর, এ নিয়ে ইউরোপের নীরবতার জন্য কড়া সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এরদোয়ান।
বার্তা সংস্থা এএফপিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যাচ্ছে, ইস্তাম্বুলে রোববার এক টিভি ভাষণে, মি. নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবার পর ইউরোপের পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া না থাকার সমালোচনা করে মি. এরদোয়ান বলেন, এটি ইউরোপের দ্বৈত নীতির প্রকাশ। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যদি ইউরোপ রাজনৈতিক মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিরোধী হয় থাকে, তাহলে মি. নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়ে কেন ইউরোপ নীরব?
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় মি. নিজামী “শহীদ” হয়েছেন বলে মনে করেন মি. এরদোয়ান। গত মঙ্গলবার ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার তুরস্ক আলোচনার জন্য তাদের ঢাকাস্থ দূতকে আঙ্কারায় ডেকে পাঠায়।
বাংলাদেশ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করার পর থেকে যেসব দেশ এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তুরস্ক তার অন্যতম। এর আগে তুরস্কের সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমেত গুল বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের কাছে চিঠি লিখেছিলেন জামায়াতের সাবেক আমীর গোলাম আযমকে যেন ফাঁসির দণ্ড দেয়া না হয় তার অনুরোধ জানিয়ে।
তুরস্কের ইসলামপন্থী দল একে পার্টি ২০০২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুসলিম বিশ্বে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে সচেষ্ট রয়েছে।