সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ বলেছেন,আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে আমরা ১৯৭০ সালের নির্বাচনের সাথে তুলনা করতে চাই-মহান মুক্তিযুদ্ধের সাথে তুলনা করতে চাই। যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধেই আজ সংস্কৃতিকর্মীদের মাঠে নামতে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন,যুদ্ধাপরাধীদের দোসররা ২৫ আসনে জামাত প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে।গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে রাজনীতির একটি মাত্র বিশ্বাস থাকবে একটি মাত্র চেতনা থাকবে আর তা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। গণতন্ত্রের নামে-নির্বাচনের নামে বাংলাদেশকে যুদ্ধাপরাধীদের অভয়ারন্য বানাতে দেয়া হবে না। যাদের হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা নেই তাদের আমরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে দেখতে চাই না। তাদের আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে পরাস্ত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে হবে।

তিনি গত শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন মুক্তমঞ্চে স্থানীয় সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবেই বাংলাদেশ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এ কথা বলেন।

বিশিষ্ট কবি সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি জয়দুল হোসেন এর সভাপতিত্বে ও আবৃত্তিশিল্পি তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সহকারি পরিচালক বাছির দুলালের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোট নেতা অভিনেতা শাহআলম দুলাল,জেলা সাংস্কৃতিক জোট আহবায়ক আবদুন নূর,কর্মসূচী সমন্বয়ক মো.মনির হোসেন। ঢাকার শিল্পি হিসাবে সঙ্গীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবু বকর সিদ্দিক,লাভলী দেব,দিলবাহার খান,রেজাউল কবীর সুমন।সমবেত আবৃত্তি পরিবেশন করেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠন,আবরনি আবৃত্তিচর্চা কেন্দ্র।মাইম শো পরিবেশন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া থিয়েটার।

এছাড়া একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন কন্ঠশিল্পী নবনীতা রায় বর্মণ,একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন প্রবর্তক আবৃত্তিচর্চা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহাদ। সমবেত জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

সেলিম পারভেজ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিউজ ডেস্ক।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে