যুদ্ধাপরাধের মামলায় আলবদর নেতা মতিউর রহমান নিজামীর শেষ আইনি লড়াইয়ে ফাঁসির দণ্ড বহাল থাকবে, নাকি সাজা কমবে তা জানা যাবে বৃহস্পতিবার।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্ব চার সদস্যের বেঞ্চ নিজামীর রিভিউ শুনানি শেষে রায়ের এ দিন ঠিক করেন। তবে, রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম বলছেন, রিভিউয়ে রায় পরিবর্তনের সুযোগ নেই।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলছে মানবতাবিরোধী অপরাধের মতিউর রহমান নিজামীর মামলাটি। গেলো জানুয়ারিতে যুদ্ধাপরাধের দায়ে এই আলবদর কমাণ্ডারের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন সর্বোচ্চ আদালত। পূর্নাঙ্গ রায় প্রকাশের পর, সেই রায় পুনবিবেচনা আবেদন করেন জামায়াত আমীর।
শুনানীতে আপিল বিভাগের প্রশ্নবানে জর্জরিত হয়ে হন নিজামীর আইনজীবীরা। আপিল বিভাগ বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের পক্ষে একজনের নাম রেজিস্ট্রারে পাওয়া যায়, আর তাকে মৃত্যুদণ্ডও দেয়া হয়। তাহলে নিজামীকে নয় কেন? মুক্তিযুদ্ধে এদেশীয় দোসররা সহায়তা না করলে, পাক বাহিনী দুমাসও টিকতে পারতো না বলেও মনে করেন আপিল বিভাগ। একই সাথে যুদ্ধাপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলায় আপিল বিভাগ বলেন, এটি কোন তামাশার বিচার না, এখানে মানবাধিকারসহ সব দিক বিবেচনা করেই এই বিচার করা হচ্ছে। যা দেখছে পুরো বিশ্ব। রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্যে, রিভিউ এ রায় পরিবর্তনের সুযোগ নেই।
শুনানিতে নিজামীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর দায় নিজামীর ওপর পরে না। একই সাথে রাষ্ট্রপক্ষ যে সাক্ষ্য প্রমাণ দিয়েছে, তাতে তাকে চরম দণ্ড দেয়া যায় না।
রিভিউ খারিজ হয়ে গেলে রায়ে অনুলিপি যাবে কারাগারে। এবং কারা কতৃপক্ষ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফাঁসির দণ্ড কার্যকরে করবে। তবে এর আগে যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার সুযোগ পাবেন।