বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শনিবার। একশ’ ৩৪ জন ডেলিগেটসের ভোটে আগামী ৪ বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন বাংলাদেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাফুফের কর্মকর্তারা। নির্বাচনে সভাপতি পদে ৪ জন, ৪টি সহ সভাপতি পদে ১০ জন ও ১৫টি সদস্য পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৩ জন প্রার্থী। নির্বাচনের ভেন্যু হোটেল র‌্যাডিসনে সকালে সাধারণ সভার পর অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ।

অনেক জল্পনা-কল্পনা আর নানা গুঞ্জন শেষে অবশেষে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন-বাফুফের নির্বাচন। নির্বাচনী মাঠের জমজমাট লড়াই যেন পূর্বাভাস দিচ্ছে আগের যেকোন নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচনটি হবে অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণে এসেছেন এএফসি কর্মকর্তা সি মুন ইয়ং। গতবার বাফুফে ভবনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও এবার তা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে র‌্যাডিসন হোটেলে। যা কিনা নির্বাচনের ক্ষেত্রে যোগ করেছে ভিন্ন মাত্রা। যেখানে এখন চলছে সাজসাজ রব। পার্থক্যের জায়গা আরো আছে। ফুটবলীয় ঘরানার বাইরে গিয়ে এ নির্বাচনে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও অংশ নিচ্ছেন। যার বড় উদাহরণ ‘বাঁচাও ফুটবল’ পরিষদের ব্যানারে সভাপতির পদে দাঁড়ানো কামরুল আশরাফ খান এমপি। সহ সভাপতি পদে দাঁড়ানো মুমিনুল হক সাঈদও আছেন এই তালিকায়। আগের নির্বাচনগুলো যেখানে হয়েছে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত সেখানে এবারের নির্বাচনটি হয়তো তা হচ্ছে না। অন্তত পূর্বাভাষ সেটিই বলছে।

টানা ৮ বছর বাফুফের সভাপতির পদটি ছিলো এ দেশের কিংবদন্তী সাবেক ফুটবলার কাজী সালাউদ্দীনের দখলে। এর আগে খুব বেশি একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে না পড়লেও এবার তাকে মুখোমুখি হতে হচ্ছে সেই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার। তিনি নির্বাচন করছেন সম্মিলিত পরিষদ থেকে। তার প্যানেল থেকে সিনিয়র সহ সভাপতি পদে সালাম মুর্শেদী এরই মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। আর, গতবারের স্বতন্ত্র সহ সভাপতি পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল এবারো একই ভাবে নিজেকে দাড় করিয়েছেন শক্ত প্রার্থী হিসেবে।

নাটকীয়তার কোন কমতি ছিলো না এই নির্বাচনকে ঘিরে। মূলত ‘সম্মিলিত পরিষদ’ ও ‘বাঁচাও ফুটবল’ পরিষদের ব্যানারেই কার্যত বিভক্ত নির্বাচনে অংশ নেয়া দুটি পক্ষ। প্রথম দিকে নির্বাচন থেকে সরে না আসার ঘোষণা দিলেও শেষ দিকে সভাপতি পদপ্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম সমর্থন দিয়েছেন বাঁচাও ফুটবল’ পরিষদের কামরুল আশরাফ খানকে। পক্ষান্তরে ‘সম্মিলিত পরিষদে’র কাজী সালাউদ্দিনকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সড়ে এসেছেন আরেক সভাপতি প্রার্থী গোলাম রব্বানী হেলাল।

বাফুফের সাধারণ সভাশেষে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। এরপরই ভোটগননা শেষে দেয়া হবে চূড়ান্ত রায়। কারা হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ফুটবলের পরবর্তী নিয়ন্ত্রক। উত্তর জানতে কৌতূহলী ফুটবল পিপাসুদের অপেক্ষাটা আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে