সরকার দফায় দফায় ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম কমালেও গ্রাহক পর্যায়ে কমাচ্ছে না সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। পাশাপাশি, ধীরগতি, সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ নানা অভিযোগ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে। অভিযোগের বিষয়ে কর্তৃপক্ষে’র দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর, মধ্যসত্বভোগীদের কারণে দাম কমছে না বলে স্বীকার করেছেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী।
চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য, পড়ালেখাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ইন্টারনেটসেবা গ্রহণকারীর সংখ্যা। সাথে প্রতিদিনই বাড়ছে ইন্টারেনেটের বহুল ব্যবহার। কিন্তু, বেশি দাম, কম গতি আর সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আছে- গ্রাহক অভিযোগ।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সভাপতি এম এ হাকিম বলছেন, অনিবন্ধনকৃত সেবা প্রতিষ্ঠানের কারণেই গুণগত মান বাড়ছে না। গুণগতমানের ইন্টারনেট সেবা বাড়াতে সরকার ব্যান্ডউইথের দাম কমিয়েছে গত ৮ বছরে ৮ দফায় প্রায় ২৬ হাজার টাকা।
বিটিআরসি’র তথ্যমতে.
২০০৮ জুলাই ২৭ হাজার টাকা
২০০৯ জুলাই ১৮ হাজার টাকা
২০১১ ফেব্রুয়ারি ১২ হাজার টাকা
২০১১ আগস্ট ১০ হাজার টাকা
২০১২ সেপ্টেম্বর ৮ হাজার টাকা
২০১৩ এপ্রিল ৪ হাজার ৮শ’ টাকা
২০১৪ এপ্রিল ২ হাজার ৮শ’ টাকা
২০১৫ সেপ্টেম্বর ১ হাজার ৮০ টাকা।
কিন্তু, এরপরও গ্রাহক পর্যায়ে প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। এজন্য, ইন্টারেটের উপর যতটুকু গুরুত্ব দেয়া দরকার তা দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ প্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বারের। তবে, টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, সরকার ইন্টারনেট সেবার গুণগতমান বাড়াতে বদ্ধ পরিকর। ইন্টারনেটের ব্যবহার সহজতর হলে দেশও উন্নয়নমুখী হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।