‘‘সমকামিতা একটি বিকৃত মানসিকতা” তাছাড়া বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ হওয়ায় ধর্মীয় কারণে সমকামিতা গ্রহণযোগ্য নয়৷ আমাদের সংস্কৃতি সমকামিতা সর্মথন করে না৷

তবে এক ফেসবুক সমীক্ষায় দেখা গেছে সমকামিতা নিয়ে মতামত প্রসঙ্গে বির্তক না বড়ানোই ভাল,” এই মন্তব্য মোশারফ হোসেনের৷। বন্ধু শাকিল আহমেদের কাছে সব মানুষই সমান৷ তিনি তাঁর মতামত জানিয়েছেন এভাবে, ‘‘প্রত্যেকের সমান অধিকার দরকার, সমকামীদেরও স্বাভাবিকভাবে বাঁচার অধিকার আছে৷” পাঠক লিংকন মনে করেন সমকামিতা জঘন্য অপরাধ, যা কোনো ধর্ম সমর্থন করেনা৷ কামাল ফকিরের মন্তব্য, ‘‘চরিত্রহীনতার সর্বনিকৃষ্ট রূপ হলো সমকামিতা, পশুরাও যা করে না৷”

ইমতিয়াজ খান লিখেছেন, মানুষের এমন বিকৃত রুচি কিভাবে হয় সেটাই তিনি বোঝেন না৷ আকাশ অরণ্য ইমতিয়াজ খানকে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন, ‘‘কোন দৃষ্টিতে আপনি বিকৃত বলবেন? কোনো বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণ আছে? হিজড়াদের ব্যাপারে আপনার অভিমত কী?”

মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনসহ অনেকে এসব বিষয় এবং অন্যান্য ট্যাবু বিষয় নিয়ে ফেসবুক পাতায় আলোচনা করার বিপক্ষে মতামত জানিয়েছেন৷ মোস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন,
দীপু রহমান মনে করেন বাংলাদেশে এখনও এ বিষয়ে আলোচনার সময় আসেনি৷ তাঁর মন্তব্য, ‘‘জাতি আরো শিক্ষিত হোক, তারপর হয়তো হবে৷”

শিহাব খান অবশ্য মনে করছেন মানুষ বেশি শিক্ষিত হলে নাকি নাস্তিক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি৷ বদিউল আলম সমকামিতাকে মানসিক রোগ বলেই মনে করেন৷ বাংলাদেশে সমকামিতা বৈধ করা প্রসঙ্গে তিনি খানিকটা আতঙ্কিত৷ কারণ তাঁর ভয়, ‘‘৯০ ভাগ মুসলমানের এই দেশে যদি এই ধরনের বিকৃত আইন অনুমোদন করা হয় তাহলে দেশে সত্যিকারের জঙ্গি সৃষ্টি হলেও হতে পারে৷”

আল-আমিন হাসান তুষার বলছেন, ‘‘আমাদের সংস্কৃতি সমকামিতা সর্মথন করে না৷ এ প্রসঙ্গে বিতর্ক না বাড়ানোই ভাল৷”
আমির হামজা তো রীতিমতো ভয়ই পেয়েছেন সমকামিতা নিয়ে আলোচনায়৷ তাঁর মন্তব্য, ‘‘আস্তে আস্তে কিয়ামতও এগিয়ে আসছে৷”
দীপঙ্কর দাস মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে নারাজ৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘কেউ যদি ওতেই খুশি থাকে তো থাক না, কার কি যায় আসে?”

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে