বাংলাদেশে একটা কথা বেশ প্রচলিত – ‘বাঘ বাঁচলে বাঁচবে বন, রক্ষা পাবে সুন্দরবন’৷ হ্যাঁ, তবে শুধু সুন্দরবনই নয়, বন্য প্রাণী বাঁচলে আমরাও বাঁচবো৷ পৃথিবীর জন্য, পরিবেশের জন্য, মানুষের জন্যও যে তাদের বাঁচিয়ে রাখা দরকার৷

আর এই কাজটা করতে হবে আমাদেরই৷ যার মারফত, মানুষের হাতেই রয়েছে বন্য প্রাণীর ভবিষ্যৎ। সামগ্রিকভাবে বন্য প্রাণী রক্ষার আহ্বান জানানো হলেও হাতির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার (আইইউসিএন) ২০০৪ সালে হাতির ওপর একটা জরিপ করে৷ সেই জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে মাত্র ২২৭টি হাতির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে৷ ভয়ের বিষয় হলো যে, এ সংখ্যাটাও কমছে ক্রমশই৷

অন্যদিকে, ২০০৪ সালে ৪৪০টি বাঘের অস্তিত্বের কথা বলা হলেও, সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের সুন্দরবনে আর মাত্র ১৬০টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার বেচে আছে বলে জানিয়েছেন বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা তপন কুমার দে৷

২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী বাঘ ও হাতি হত্যায় সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে৷ কিন্তু তারপরও বাঘ মারার ঘটনা ঘটে চলেছে বাংলাদেশে৷ তার ওপর আছে চোরাকারবারিদের উপদ্রব৷ তাই বনের প্রাণী রক্ষায় সচেতনতার বিকল্প নেই৷ আর জাতিসংঘের এই ভিডিওটি দেখলে আপনি কিছুটা সচেতন অবশ্যই হবেন৷

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছর এই ৩রা মার্চ দিনটি বিশ্ব বন্য প্রাণী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে৷

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে