দেশে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা আশংকাজনকভাবে বেড়ে গেছে। প্রতিবছর গড়ে ৯ হাজার শিশু এ দুরারোগ্যে আক্রান্ত হচ্ছে। মূলত খাদ্যে ভেজালসহ পারিপার্শ্বিক বৈরী পরিবেশের কারণেই এ হার বাড়ছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। এদিকে চিকিৎসা ব্যয়বহুল ও দীর্ঘ মেয়াদী হওয়ায় অনেক অভিভাবকই এর ধারাবাহিকতা রাখতে পারেন না।
সাড়ে তিন বছর বয়সী জাহিদের জার্ম সেল ক্যান্সার ধরা পড়ে দু’বছর বয়সে। মাত্র তিন মাস চিকিৎসায় খরচ হয়ে যায় আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা। কিন্তু বর্গাচাষী বাবা চিকিৎসার খরচ জোগাতে না পারায় প্রায় ১০ মাস বন্ধ থাকে তার চিকিৎসা। একই অবস্থা এক বছর বয়সী তাহার পরিবারেরও। দেশে জাহিদ ও তাহার মতো ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রতি বছরই বাড়ছে।
অজ্ঞতা ও সঠিক রোগ নির্ণয়ে দেরিতে হওয়ায় জটিল আকার নিয়েই অধিকাংশ অভিভাবক আসেন ডাক্তারের কাছে, আবার ব্যয়বহুল হওয়ায় চিকিৎসা বন্ধ করে দিতেও বাধ্য হন অনেকে।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের হেমাটোলজি এন্ড অনকোলজি বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সেলিমুজ্জামান বলছেন, শিশুদের ৫ শতাংশ বংশগত বা জিনেটিক কারণে আর ৯৫ শতাংশই ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে খাদ্যে ভেজালসহ প্রতিকূল পরিবেশের কারণে। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ক্যান্সার নিরাময় সম্ভব বলেও জানান বিশেষজ্ঞরা।