রাজধানীর ফুটপাতে হাঁটতে গিয়ে প্রতিনিয়তই নানা ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। আবার প্রায় অর্ধেক সড়কে ফুটপাতই নেই। এ ছাড়া প্রায় দুই তৃতীয়াংশ পায়ে হাঁটার পথ চলাচলের অনুপযোগী। ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নগর পরিকল্পনায় পরিবহনের বিষয়টি প্রাধান্য দেয়ায় শহর অনিরাপদ হয়ে যাচ্ছে।
হঠাৎ দেখলে মনে হবে কোন হোটেল বা রেস্তোরায় দুপুরের খাবার খাচ্ছেন সবাই। কিন্তু আসল ব্যাপারটা হলো, ফুটপাত দখল করে খাবার বিক্রি হচ্ছে এখানে। ফুটপাত দখল করে চলছে নানা রকম ব্যবসা।
বেশিরভাগ ফুটপাতই খাবারের দোকান অথবা ঝুপড়ি ঘর কিংবা নির্মাণ সামগ্রীর অস্থায়ী ঠিকানা। এমনকি ময়লার ডাস্টবিনও হয়ে যাচ্ছে ফুটপাত। আর দখলের পরও যেটুকু বেঁচে যাচ্ছে তার বেশিরভাগই ভাঙাচোরা।
সড়ক পেরুলেই দোকান-পাট বা ঘরবাড়ি। এই দুইয়ের মাঝে ফুটপাতের কোন অস্তিত্ব নেই। এই অবস্থা ঢাকার প্রায় ৪৪ শতাংশ সড়কের। আর ৮২ শতাংশ ফুটপাতের বেহাল দশার কারণে পথচারীর হাঁটাই দায় হয়ে পড়েছে।
মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙ্গে ফেলা হলেও আবার সুযোগ বুঝে শুরু হয়ে যায় বাণিজ্য।
ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট প্রোগ্রাম ম্যানেজার মারুফ হোসাইন অভিযোগ করেন, নগর পরিকল্পনায় নাগরিকদের হাঁটাকে প্রধান্য না দিয়ে পরিবহনের বিষয়টি প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। ফলে ভুক্তভোগী হচ্ছে জনগণ বা পথচারী।
অভিযোগের জবাবে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, বেদখল হয়ে যাওয়া ফুটপাত দখলমুক্ত করতে কাজ চলছে। একইসঙ্গে ফুটপাত পথচারী বান্ধব করতে পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানালেন ঢাকা দক্ষিণের নগর পিতা।