প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ৭ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন কোনও বিস্ময় নয়, সরকারের ধারাবাহিক পরিকল্পনার ফসল। ঢাকায় কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি প্রধান বাংলাদেশে প্রত্যেক নাগরিকরে এ বিষয়ে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। এজন্য স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের ফসলের মাঠে ব্যবহারিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে কৃষকের স্বার্থ এবং অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে ৪৪ বছর আগে প্রতিষ্ঠা হয় বাংলাদেশ কৃষক লীগ। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কৃষি এবং কৃষকের জন্য সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কৃষকের জন্য স্বল্প সুদে বিনা জামানতে ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে, বিশ্ব ব্যাংক বা দাতা সংস্থার আপত্তির পরও কৃষকের জন্য ভর্তুকি অব্যাহত আছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি বান্ধব এসব উদ্যোগের কারণেই বাংলাদেশে আজ খাদ্য উদ্বৃত্ত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীতে আমরাই বোধহয় একমাত্র দেশ যারা অর্থনীতিকে সচল রাখতে পেরেছি। আমরা প্রবৃদ্ধি ৬ ভাগের উপরে অর্জন করেছি এবং ধরে রেখেছি। বর্তমানে আমরা ৭ ভাগে চলে এসেছি। অনেকে এটাকে বিস্ময়কর মনে করে। আমি বলি এটা বিস্ময় নয়, এটা হচ্ছে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ এবং সেই মোতাবেক পদক্ষেপ নেয়া। এটা আমাদের দেশপ্রেম। যার সুফল আজকে দেশের মানুষ পাচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের খাদ্যের যোগান হয় কৃষকের হাত ধরে। তাই এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন প্রত্যেক নাগরিকের।
এসময় তিনি বলেন, ‘আমাদের ছাত্র-ছাত্রী স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। তাদেরও কৃষি মাঠে নিয়ে যাওয়া দরকার। তাদের হাত দিয়ে কিছু কাজ করানো উচিত। হাতে-কলমে শিক্ষা দেয়া উচিত। তার জন্য অতিরিক্ত নম্বর দেয়ার দরকার হলে সেটাও তাদের দেয়া উচিত। যাতে কৃষিকাজকে কেউ ছোট চোখে না দেখে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে শিল্পায়ন হবে কিন্তু এ কারণে কৃষি জমি বা বন ধ্বংস করা যাবে না। আর সে কথা মাথায় রেখেই দেশজুড়ে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার আগে নেয়া হচ্ছে বিশেষ পরিকল্পনা।