পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে কোন প্রকার ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশের অনুমতি নাই। যদিওবা জালিয়াতি টেকাতেই এমন সিদ্ধান্ত। কিন্তু দূর-দূরান্ত থেকে আগত ভর্তিচ্ছুদের সাথে থাকা অতিপ্রয়োজনীয় ফোন,ঘড়ি, ব্যাগ নিয়ে বিভিন্ন বেকায়দায় পড়তেই হয়। ভর্তিচ্ছুদের এই সমস্যার কথা ভেবেই সমাজকর্ম বিভাগের প্রথম বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর এ ভিন্নধর্মী উদ্যোগ। বিনামুল্যে ব্যাগ, ঘড়ি, ফোন ইত্যাদি রাখার ব্যবস্থা করেছে তারা। মমতাজ উদ্দিন কলা ভবনের সামনেই একটি স্টলের মাধ্যমে চলছে তাদের কার্যক্রম ।
উদ্দ্যক্তাদের একজন বলেন, আমরাও ইতোপূর্বে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে এ ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলাম। তাই রাবি ক্যাম্পাসে আগত ভর্তিচ্ছুদ্দের সমস্যার কথা মাথায় রেখেই আমাদের এ ধরনের উদ্যোগ । এতে করে আমাদের ক্যাম্পাসের ভাবমূর্তি উজ্জল হবে। সাথেসাথে ভর্তিচ্ছুদের কিছুটা হলেও ভোগান্তি কমবে।
দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে থেকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা একজন শিক্ষার্থী কাওসার মিয়া বলেন, ‘পরীক্ষা দিতে এসে ব্যাগ, ফোন কোথায় রাখবো বুঝতে পারছিলাম না। বাইরে তো ফেলে যেতে পারি না। আবার ভিতরেও ঢোকাতে দিচ্ছে না। আমাদের সাথে কেউ নেই যে তাদের কাছে রাখবো।সমাজকর্ম বিভাগের এই উদ্যেগের কারণে বিনা দ্বিধায় এসব রাখতে পেরেছি। এ ধরণের উদ্যেগে আমি খুশি।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ স্নাতক শ্রেনীতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে সোমবার। সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত দফায়-দফায় চলে বিভিন্ন অনুষদের অধীনে এ ভর্তি পরীক্ষা ।শেষ হবে মঙ্গলবার।
মেশকাত মিশু
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ।। বিডি টাইমস নিউজ