ফেভারিটের মতো সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ। প্রথম ওডিআইতে জয় ২৮ রানে। ইমরুলের অনবদ্য সেঞ্চুরির পর সাইফুদ্দিনের প্রথম ফিফটিতে ২৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং টোটাল স্বাগতিকদের। ভালো শুরুর পর ধারাবাহিকতা রাখতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। দুই স্পিনার মিরাজ ও অপুর নৈপুণ্যে সহজ জয় টাইগারদের। অনবদ্য ১৪৪ রানের ইনিংসে ম্যাচসেরা ইমরুল।

তামিম নেই। ওপেনিংয়ে ফিরে পারফর্মের চ্যালেঞ্জ ছিলো ইমরুলের। মনমতো শুরুর সুযোগ দেননি লিটন। দুবাইর ফর্ম মিরপুরে টেনে আনতে পারলেন না এই ওপেনার। ফজলে রাব্বিকে নিয়ে প্রত্যাশা আকাশচুম্বি। অভিষেকের চাপে ভজঘট। ফিরেছেন শূন্য রানে। উইকেটে মিস্টার ডিপেন্ডেবল। সাম্প্রতিক ফর্মে সেরাটাই প্রত্যাশা। কিন্তু মুশফিকের দ্রুত বিদায়ে বিপদে টাইগাররা। ৬৬ রান উঠতেই ৩ উইকেট নেই। হোম অব ক্রিকেট, হাতুর তালুর মতো চেনা জিম্বাবুয়ের। তাই সফরকারীদের নিয়ে ভয় ছিলো। কিন্তু উইকেটে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন। মিঠুনকে নিয়ে চাপ সরিয়েছেন। ৭১ রানের জুটি যখন পথ দেখাচ্ছিলো, তখনই জার্ভিস ঝড়। ১৪ বলের ব্যবধানে ফিরেছেন মিঠুন-মাহমুদুল্লাহ-মিরাজ।

স্বাগতিকরা আবারো চাপে। অভিজ্ঞ ইমরুল হাল ছাড়েননি। লড়াকু সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে ম্যাচে রাখলেন। সময়মতো মুনসিয়ানা দেখালেন সাইফুদ্দিন। প্রথম ফিফটিতে ২৭১ রানের ফাইটিং টোটাল। টার্গেট ২৭২, আত্মবিশ্বাসী জিম্বাবুয়ের উড়ন্ত শুরু। বোলারদের ব্যস্ত রাখলেন দুই ওপেনার। বোলার বদলেও কুলকিনারা পাচ্ছিলেন না মাশরাফী।

স্বস্তি দেন মুস্তাফিজ। মোমেন্টোম ফিরল বাংলাদেশের দিকে। অল্প সময়ের ব্যবধানে ফেরেন টেইলর, মাসাকাদজা, রাজা। আরভিন, মুর, মাভুতা স্রোতের বিপরীতে খেলেছেন। কিন্তু আস্কিং রান রেটের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে বিপদ ডেকেছেন। একটু খরুচে হলেও তিনজনকে ফেরান মিরাজ। এরপর উইলিয়ামস-জার্ভিস শেষবারের মতো জ্বলে উঠলেন। কিন্তু জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিলো না। বুধবার জহুর আহমেদে সিরিজ নিশ্চিতে নামবে মাশরাফীর দল।

নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে