তৃতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ। আন অফিসিয়াল সেমিতে পাকিস্তানকে হারিয়েছে ৩৭ রানে। টাইগারদের দেয়া ২৪০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের ইনিংস থামে ২০২ রানে।
ম্যাচের শুরুটা হলো দু:সংবাদ দিয়ে। সাকিব ছিটকে পড়েছেন এশিয়া কাপ থেকে। তামিম-সাকিবের অনুপস্থিতিতে লড়াই করতে পারবে তো টাইগাররা। জবাবটা মাঠে দিলো বাংলাদেশ। সারফ্রাজের দলকে ডোমিনেট করেই ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে মাশরাফীরা।
আবুধাবির উইকেট ২৪০ রানের টার্গেট মোটেও বড় কিছু নয়। কিন্তু টাইগার বোলার-ফিল্ডাররা যেদিন চার্জড আপ থাকেন সেদিন প্রতিপক্ষ উইকেট থেকে কি আর সুবিধা নিতে পারে। ফাখারকে দিয়ে শুরুটা করেছেন মিরাজ, তার সাথে যোগ দিলেন মুস্তাফিজ। পরপর দুই ওভারে ফেরালেন বাবর আর সারফ্রাজকে।
শোয়েবকে সাথে নিয়ে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা সামলানোর চেষ্টা চালিয়েছেন ইমাম। পাল্টা জবাব দিয়ে চোখ রাঙাচ্ছিলেন। কিন্তু দারুণ এক ক্যাচে ডেঞ্জারম্যান শোয়েবকে ফেরালেন মাশরাফী। যদিও উইকেট যোগ হয়েছে রুবেলের নামে।
রানরেটের সঙ্গে আর পাল্লা দিতে পারেনি পাকিস্তান। নিয়মিত বিরিততে উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভার শেষে তাদের ইনিংস থেমেছে ২০২ রানে।
এর আগের নিজেদের ইনিংসের শুরুটা অবশ্য সুখকর হয়নি বাংলাদেশের। টপ অর্ডার এদিনও ব্যর্থ হয়েছে। শান্তের বদলে জায়গা পাওয়া সৌম্য সুযোগ হারালেন হেলায়। মুমিনুল সৌরভ ছড়াতে পারেননি। ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দেয়া লিটনও আউট হয়েছে ৬ রানে।
১২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ের মুখে দল। বরাবরের মতো উদ্ধারকর্তা মুশফিক। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচের মতো তার সঙ্গী মিঠুন। টু এম মিলে বিপর্যয় সামলেছেন, পাল্টা আক্রমনে রান তুলেছেন। ফিফটি আদায় করে নেন দুইজনই।
৬০ রানে মিঠুন ফিরলে ভাঙে ১৪৪ রানের পার্টনারশিপ। এরপর ইমরুল উইকটে এসেবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তবে অপর প্রান্তে অবিচল মুশফিক। স্বভাজাত সাবলীল ব্যাটিংয়ে দলের ভার টেনে নিয়েছেন। তবে সেঞ্চুরির দাঁড়প্রান্তে গিয়ে ভুল করে বসেন। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ম্যাজিক ফিগারের এক রান আগে ফিরতে হয়েছে সাজঘরে।
দ্রুত রান তোলার চাপ সামলাতে পারেনি টেলএন্ডার, নইলে টাইগারদের স্কোরটা আরও বড় হতে পারতো।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট